‘আহ্দ নামার ফযীলত’
১. বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি জীবনে একবার আহ্দনামা পাঠ করবে, আল্লাহর রহমতে সে ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করবে এবং বেহেশতবাসী হবে।
২. হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেছেন, আমি রাসূল-ই করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হতে শুনেছি যে, মানুষের দেহে তিন হাজার ব্যাধি রয়েছে। তন্মধ্যে এক হাজার ব্যাধির ঔষধ সম্পর্কে চিকিৎসকগণ অবগত আছেন। আর বাকি দুই হাজারের ঔষধ সম্পর্কে কেউ অবগত নয়। যে ব্যক্তি এ আহ্দনামা পাঠ করবে ও সঙ্গে রাখবে আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে ওই সব ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখবেন।
بِسْمِ اللّٰہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
اَللّٰہُمَّ فَاطِرَ السَّمٰوَاتِ وَالْاَرْضِ عَالِمَ الْغَیْبِ وَالشَّہَادَۃِ ہُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِیْمُط اَللّٰہُمَّ اِنِّیْٓ اَعْہَدُ اِلَیْکَ فِی ہٰذِہِ الْحَیٰوۃِ الدُّنْیَا بِاَنِّیْٓ اَشْہَدُ اَنْ لآَّ اِلٰہَ اِلآَّ اَنْتَ وَحْدَکَ لاَ شَرِیْکَ لَکَ وَاَشْہَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُکَ وَرَسُوْلُکَ فَلاَ تَکِلْنِیْٓٓ اِلٰی نَفْسِیْ وَاِنَّکَ اِنْ تَکِلْنِیْٓ اِلٰی نَفْسِیْ تُقَرِّبْنِیْٓ اِلٰی الشَّرِّ وَتُبَاعِدْنِیْ مِنَ الْخَیْرِ وَاِنِّیْ لاَ اَتَّکِلُ اِلاَّ بِرَحْمَتِکَ فَاجْعَلْ لِّیْ عِنْدَکَ عَہْدًا تُوَفِّیْہِ اِلٰی یَوْمِ الْقِیٰمَۃِ اِنَّکَ لاَ تُخْلِفُ الْمِیْعَادَ وَصَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلٰی خَیْرِ خَلْقِہٖ مُحَمَّدٍ وَّعَلٰی اٰلِہٖ وَاَصْحَابِہٖٓ اَجْمَعِیْنَ بِرَحْمَتِکَ یَآ اَرْحَمَ الرّٰحِمِیْن -বাংলা উচ্চারণ
বিস মিল্লা-হির রাহমা-নির রাহী-ম
আল্লা-হুম্মা ফা-ত্বিরাস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল্ র্আদ্বি ‘আ-লিমাল্ গায়বি ওয়াশ্শাহা-দাতি হুর্য়া রাহ্মা-র্নু রাহী-ম। আল্লা-হুম্মা ইন্নী- আ’হাদু ইলায়কা ফী- হা-যিহিল্ হায়া-তিদ্ দুন্ইয়া বিআন্নী- আশ্হাদু আন্লা- ইলা-হা ইল্লা- আন্তা ওয়াহ্দাকা লা- শারী-কা লাকা ওয়া আশ্হাদু আন্না ওয়াহ্দাকা লা- শারী-কা লাকা ওয়া আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদান্ ‘আব্দুকা ওয়া রাসূ-লুকা ফালা- তাকিল্নী- ইলা- নাফ্সী- ওয়া ইন্নাকা ইন্ তাকিল্নী- ইলা- নাফ্সী- তুর্ক্বারিব্নী- ইলাশ্ র্শারি ওয়া তুবা-‘ইদ্নী- মিনাল্ খায়রি ওয়া ইন্নী- লা- আত্তাকিলু ইল্লা- বিরাহ্মাতিকা ফাজ্‘আল্লী- ‘ইন্দাকা ‘আহ্দান্ তুওয়াফ্ফী-হি ইলা- ইয়াউমিল্ ক্বিয়া-মাতি ইন্নাকা লা- তুখ্লিফুল্ মী-‘আদ। ওয়া সোয়াল্লাল্লা-হু তা‘আ-লা- ‘আলা- খায়রি খাল্ক্বিহী- মুহাম্মাদিওঁ ওয়া ‘আলা- আ-লিহী- ওয়া আস্হা-বিহী- আজ্মা‘ঈ-না বিরাহ্মাতিকা ইয়া র্আহার্মা রা-হিমী-ন।বাংলা অর্থ
আল্লাহর নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময়
হে আল্লাহ! আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা, তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্য সকল বিষয়ে অবগত। তিনি পরম দাতা ও দয়ালু। হে আল্লাহ্! তোমার সাথে ওয়াদা করে আমি পার্থিব জীবনে এ মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র তুমি ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই, তুমি একক, তোমার কোন শরীক নেই, আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা তোমার খাস বান্দা ও রসূল। অতএব, আমাকে আমার নাফ্সের হাতে সোপর্দ করোনা। যদি আমাকে আমার নাফসের হাতে সোপর্দ কর, তবে তা আমাকে অকল্যাণের দিকে টেনে নেবে এবং দূরে ঠেলে দেবে কল্যাণ থেকে। নিশ্চয়ই আমি তোমার দয়া ব্যতীত কারো উপর ভরসা করিনা। অতএব, তোমার দিক হতে আমাকে এ রকম ওয়াদা দাও, যা তুমি শেষ বিচারের দিন পূর্ণ করবে। নিশ্চয়ই তুমি ওয়াদাভঙ্গকারী নও। সালাত বর্ষণ করো সৃষ্টির সেরা হযরত মুহাম্মদ মোস্তফার উপর এবং তাঁর পরিবার পরিজনের উপর, তাঁর সঙ্গী-সাথীদের উপর এবং অন্যান্য সকলের প্রতি। তোমার বিশেষ রহমত ও দয়াসহকারে, হে দয়াময়, তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু দাতা।