مُشْكِلَة الْفَيْضَانَاتِ فِي بَنْغَلَادِيْشَ
الْمُقَدَّمَةُ :
كَثرَةُ الْمَطَر تُقَالُ لَهَا الْفَيْضَانَاتِ مُشْكِلَةُ الْقَيْضَانَاتِ فِي بَنْغَلَابِيْشَ مُشْكِلَةٌ كَبِيرَةُ مِنَ الْمَشَاكِلَ الْمُخْتَلِفَةِ فِيهَا -
مِقْدَارُ التَّقْصَانِ بِالْفَيْضَانَاتِ :
إِنَّ مِقْدَارُ التَّقْصَانِ فِي بَنْقَلَابِيش بِالْفَيْضَانَاتِ كَثِيرُ جِدًّا. وَقَدْ أَغْرَقَتْ فَيُضَانَةٌ سَنَةَ ١٩٧٤ وَسَنَة ١٩٨٨ وَسَنَةَ ١٩٨ م نِصْفًا مِنْ أَرْضِ بَنْغَلَادِيشَ -
النقصَانُ الاقْتِصَادِي :
النَّقْصَانَ الْاقْتِصَادِى بِهَذِهِ الْفَيْضَانَاتِ نُحو ٨۰۰۰/۸۰۰۰ مِلْبُونَا تَاكَا. وَوَقَعَ ٨٠/٧٠ مِلْيُوْنَا مِنَ النَّاسِ فِي الْخَسَارَةِ وَمَاتَ النَّاسُ نَحْوَ الْفَيْنِ وَانْهَدَمَ كَثِير مِنَ الْبُيُوتِ -
اسبابُ الفَيْضَانَاتِ فِى بنغلاديش :
أَسْبَابُهَا كَثِيرَةً مِنْهَا :
١- كَثرَة الْمَطِر وَعَدَمُ سَيْلَانَ الْمَاءِ : إِنَّ كَثرَةُ الْمَطَرِ مِنْ أَكْبَرِ أَسْبَابُ الْفَيْضَانَاتِ فِي بَنْغَلَادِيشَ وَفِي كَثِيرٍ مِنْ أَطْرَافِ بَنْغَلَادِيْشَ لا يسيل ماء المطر إلى الأَنْهَارِ بَلْ يَجْمَعُ في أمكنة مختلفة وبهذا الْمَطَرِ إِذَا اجْتَمَعَ مَاءَ الَّذِي يَنْزِلُ مِنَ الْجِبَالِ تَصِيْرُ لفَيْضَانَةُ -
٢- بناء السد الفرقا : إِنَّ حُكومة الهند قَدْ بَنَتِ الشَّرُّ الْفَرَقَا عَلَى نَهْر غنعًا". فَلَمَّا يَكْثُرُ الْمَطَرُ فِى الْهِنْدِ وَكَادَ أَنْ تَكُونَ الْفَيْضَانَةً فِي الْهِنْدِ يَفْتَحُ السُّدَّ حَتَّى يَخْرُجَ جَمِيعُ الْمَاءِ فَيُسِيلَ إِلَى بَنْغَلَادِيْشَ فَيَسْتَغْرِقُ مِنْهُ الْأَرْضُ وَالْمَزَارِعَ وَالنَّاسِ -
سَبِيْلُ النَّجَاةِ مِنَ الْفَيْضَانَاتِ فِي بَنْغَلَادِيْشَ :
إِنَّ مَنَابِعَ الْأَنْهَارُ لِبَنْغَلَادِيْشَ فِى خَارِجَ الْبَلَادِ فَلَا يُمْكِنُ مَنْعُ جِرْيانِ الْمَاءِ بِالسَّدَّ عَلَى الْأَنْهَارِ. فَلِهَذَا يَنْبَغِي أَنْ تُؤْخَذُ الطَّرْقُ التالِيَة -
١- بناء الْعِمَارَةِ الْمَحْفُوظَةِ : يَحْفَظُ مِنَ الْفَيْضَانَةِ إِذَا تُبْنَى الْعِمَارَاتِ الْمَحْفُوظَةِ فَيَلْتَحِي إِلَيْهَا النَّاسَ عِنْدَ الْفَيْضَانَة -
٢- حَفْرُ الْعَبُونِ وَتَجْدِيدَ حَفْرُهَا : أَنْ يَحْفَرَ عُيُونَ جَدِيْدَةً أَوْ يُجَدِّدُ حَفْرُ العونَ الَّذِى قَدْ حَفَرَتْ فَيَسِيلُ مَاء الْعَطر إلى البحارسريعًا -
٣- ايجاد الآلاتِ الَّتِي تَعْلِنُ بِهَا قَبْلَ الْفَيْضَانَةِ: وَإِذَا يُعْلِنُ لِلنَّاسِ بِالْفَيْضَانَاتِ قَبل إتيانها يمكنُ للنَّاسِ أَنْ يَحْتَفِظُوا مِنْهَا -
الْخَاتِمَةُ :
عَلى أَهْلِ بَنْغَلَادِيْشَ وَحُكَوْمَتِهَا أَنْ تَأْخَذَ الطَّرُقَ الْمَنَاسَبَة. وَيَدْعُوا إِلَى اللَّهِ تَعَالَى لِيَحْفَظَهُمْ عَنِ الْفَيْضَانَاتِ -
বাংলাদেশে বন্যা সমস্যা
উপস্থাপনা :
প্রচুর বৃষ্টিপাতকে বন্যা বলা হয়। নানাবিধ সমস্যার মাঝে বন্যা সমস্যা বাংলাদেশের বিরাট সমস্যা।বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ :
বাংলাদেশে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খুবই বেশি । ১৯৭৭, ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের বন্যা বাংলাদেশের অর্ধেক ভূমি ডুবিয়ে দিয়েছিল।অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি :
এসব বন্যায় অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৭০০০/৮০০০ মিলিয়ন টাকা হয়েছিল। ৭০/৮০ মিলিয়ন লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর প্রায় দু'হাজার মতো মানুষ মৃত্যুবরণ করে এবং অসংখ্য গৃহ ধ্বংস হয়ে যায় ।বাংলাদেশে বন্যার কারণ :
এর অসংখ্য কারণ রয়েছে; তন্মধ্যে-১. অধিক বৃষ্টিপাত ও পানি প্রবাহিত না হওয়া : অধিক বৃষ্টিপাত বাংলাদেশের বন্যার সবচেয়ে বড় কারণ । বাংলাদেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে বৃষ্টির পানি নদীতে প্রবাহিত হয়। না; বরং বিভিন্ন স্থানে জমে থাকে। এ পানির সাথে পাহাড় থেকে নামা পানি একত্রিত হয়ে বন্যা সৃষ্টি করে ।
২. ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ : ভারত সরকার গঙ্গা নদীর উপর ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করেছে। ভারতে যখন অধিক বৃষ্টিপাত হয় এবং বন্যার উপক্রম হয়ে যায়, ভারত ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়, ফলে সকল পানি বেরিয়ে এসে বাংলাদেশে প্রবাহিত হয় এবং ভূমি, ফসল ও মানুষ ডুবে যায়।
বাংলাদেশে বন্যা থেকে মুক্তির উপায় :
বাংলাদেশের নদীর উৎসমূল দেশের বাইরে অবস্থিত। কাজেই নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করে প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। কাজেই নিম্নোক্ত পদ্ধতিসমূহ গ্রহণ করা উচিত-১. সুরক্ষিত ইমারাত নির্মাণ : সুরক্ষিত ইমারত নির্মাণের মাধ্যমে বন্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। বন্যার সময় মানুষ এতে আশ্রয় নিবে।
২. খাল খনন ও খনন কাজ নবায়ন : যদি নতুন নতুন খাল খনন করা হয় কিংবা যে সকল খাল খনন করা হয়েছে তার খনন কাজ নতুন করে করা হয়, তাহলে বৃষ্টির পানি দ্রুত সমুদ্রে চলে যাবে।
৩. বন্যার পূর্বে ঘোষণাকারী বিভিন্ন যন্ত্র আবিষ্কার : বন্যা আসার পূর্বে বন্যার কথা ঘোষণা করা হলে মানুষের জন্য বন্যা হতে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে।