পবিত্র কুরআনুল কারীমের তাফসীর গ্রন্থ “তাফসীরে জালালাইন” শরীফ
আল্লামা জালালুদ্দীন মুহাম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে মুহাম্মদ আল মহল্লী (র.) এবং আল্লামা জালালুদ্দীন আবদুর রহমান ইবনে আবী বকর আস সুয়ূতী (র.)
কাঠামোঃ উর্দু শরহে কামালাইন ও জামালাইনের অনুকরণে বাংলা অনুবাদ, ৭টি খণ্ডে বিভক্তি
তাফসির আল জালালাইন বা তাফসির জালালাইন বা তাফসিরে জালালাইন (আরবি : تفسير الجلالين / تفسير الإمامين الجلالين ; উর্দু : تفسیر جلالین ) মুসলমানদের ধর্ম গ্রন্থ আল কুরআনুল কারিমের প্রসিদ্ধ ব্যখ্যা গ্রন্থসমুহের মধ্যে একটি অন্যতম সুপরিচিত প্রসিদ্ধ গ্রন্থ; যার অনন্য বৈশিষ্ট্যে পাঠক মহলে সমাদৃত।
গ্রন্থকার ও নামকরণ:
এ গ্রন্থটি কারও একক রচনা নয়। দু'জন বিজ্ঞ মুফাসসির এটি রচনা করেছেন। তাদের দু'জনের নাম একই। দু'জনেরই নাম 'জালালুদ্দীন'। একজন জালালুদ্দিন মহল্লী। অপরজন জালালুদ্দিন সুয়ুতী। তাদের নামের প্রথম অংশ হল - 'জালাল'। আরবি ভাষায় 'জালাল' (جلال ) শব্দের দ্বিবচন হল 'জালালাইন' (جلالین )। যেহেতু এটি দুই 'জালাল'-এর লেখা, তাই দুই নামের সম্পৃক্ততায় তাকে তাফসির আল জালালাইন (تفسیر الجلالین ) নামে অভিহিত করা হয়।অনুবাদ:
গ্রন্থটির মূল ভাষা আরবি। পরবর্তীতে বহু ভাষায় এটি অনুবাদ হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : উর্দু , ফার্সি, বাংলা ইত্যাদি। ইংরেজি ভাষায়ও এর দুটি অনুবাদ রয়েছে।জালালাইনের ব্যখ্যা গ্রন্থসমূহ:
জামালাইন:এ ব্যাখ্যাগ্রন্থটি লিখেছেন - মোল্লা নূরুদ্দীন আলী ইবনে সুলতান মুহাম্মদ আল হারাবী ওরফে মোল্লা আলী ক্বারী (মৃত্যু: ১০১৪ হিজরি), রচনাকাল - ১০০৪ হিজরি।
কাইসুন নিরাইন:
এটি লিখেছেন শায়খ শামসুদ্দীন মুহাম্মদ ইবনে আল কামী (রাহ) ; রচনাকাল - ৯৫৩ হিজরি।
এটি লিখেছেন শায়খ শামসুদ্দীন মুহাম্মদ ইবনে আল কামী (রাহ) ; রচনাকাল - ৯৫৩ হিজরি।
মাজমাউল বাহরাইন ওয়া মাতলাউল বাদরাইন:
এটি রচনা করেন জালালুদ্দীন মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মদ আল কারখী (রাহ)।
এটি রচনা করেন জালালুদ্দীন মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মদ আল কারখী (রাহ)।
আল ফুতুহাতুল ইলাহিয়্যাহ বি তাওজিহি তাফসিরিল জালালাইন লিদ দাকাইকিল খাফিয়্যাহ:
জালালাইনের উপর এই ব্যাখ্যাগ্রন্থটি লিখেন শাইখ সুলাইমান আল জামাল (মৃত্যুঃ ১২০৪ হিজরি)।