প্রত্যুপকার
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
📌 তথ্যকণিকা (Information)
- কেন্দ্রীয় চরিত্র: আলী ইবনে আব্বাস (সকৃতজ্ঞ প্রত্যুপকারী)।
- আলী ইবনে আব্বাস যার প্রিয়পাত্র ছিলেন: বাগদাদের খলিফা আল মামুনের।
- বন্দি রাখার স্থান: আলী ইবনে আব্বাসের বাড়িতে।
- বন্দি ব্যক্তির জন্মস্থান: দামেস্ক নগরের বৃহৎ মসজিদ সংলগ্ন এলাকায়।
- আলী ইবনে আব্বাস যার নিকট আশ্রয় চান: দামেস্কের এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির নিকট।
- উপহার (আশ্রয়দাতা কর্তৃক): উৎকৃষ্ট অশ্ব, খাদ্যসামগ্রী ও স্বর্ণমুদ্রা।
- আলী ইবনে আব্বাসের প্রিয় স্থান: দামেস্ক।
- চমকে ওঠার কারণ: বন্দি ব্যক্তিই তাঁর সেই আশ্রয়দাতা ছিলেন।
- বন্দি ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য: নিঃস্বার্থ উপকারী।
- খলিফা মামুনের বৈশিষ্ট্য: মহামতি ও অতি উন্নতচিত্ত পুরুষ।
- খলিফা কর্তৃক বন্দিকে উপহার: ১০টি অশ্ব, ১০টি খচ্চর, ১০টি উষ্ট্র।
✍️ লেখক-পরিচিতি: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
- জন্ম: ১৮২০ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর, বীরসিংহ গ্রাম (পশ্চিমবঙ্গ)।
- মূল নাম ও উপাধি: ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। 'বিদ্যাসাগর' তাঁর উপাধি (সংস্কৃত কলেজ থেকে প্রাপ্ত)।
- পাণ্ডিত্য: সংস্কৃত ও ইংরেজি ভাষায়।
- পরিচিতি: 'দয়ার সাগর', বাংলা গদ্যের জনক, সমাজ-সংস্কারক।
- উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: 'বর্ণপরিচয়' (১৮৫৫)।
- মৃত্যু: ১৮৯১ সালের ২৯শে জুলাই।
💡 MCQ টপ টিপস
- আলী ইবনে আব্বাসের আশ্রয়দাতা বাসিন্দা ছিলেন - দামেস্ক'র।
- মুক্তির পর বন্দি ব্যক্তি যেতে চেয়েছিলেন – তার পরিবারের কাছে।
- বন্দি ব্যক্তির জন্য আলী ইবনে আব্বাস সহায়তা প্রদান করেন – খাবার ও অশ্ব।
- আলী ইবনে আব্বাসের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য – দয়াশীলতা ও কৃতজ্ঞতা।
- ‘প্রত্যুপকার' রচনাটি সংকলিত হয়েছে – ‘আখ্যানমঞ্জরী' দ্বিতীয় ভাগ থেকে।
📖 মূলভাব ও চরিত্র বিশ্লেষণ
সারসংক্ষেপ: 'প্রত্যুপকার' আলী আব্বাস নামক এক ব্যক্তির প্রতি-উপকারের কাহিনি। খলিফা মামুনের শাসনকালে আলী ইবনে আব্বাস দামেস্কে এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির কাছে জীবন রক্ষা পান। পরে সেই ব্যক্তি খলিফার হাতে বন্দি হলে, আলী ইবনে আব্বাস নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাকে মুক্ত করেন।
আলী ইবনে আব্বাসের চরিত্র: এই রচনায় আলী ইবনে আব্বাসের চরিত্রে কৃতজ্ঞতা, দয়াশীলতা এবং নৈতিক সাহস ফুটে উঠেছে। খলিফার রোষ উপেক্ষা করে তিনি উপকারীর উপকারের জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করতেও দ্বিধা করেননি।
❓ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর: বীরসিংহ গ্রাম, মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ।
২: ‘প্রত্যুপকার' রচনাটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত?
উত্তর: ‘আখ্যানমঞ্জরী' দ্বিতীয় ভাগ।
৩: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘আখ্যানমঞ্জরী' রচনা করা হয় কত সালে?
উত্তর: ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দে।
৪: ‘প্রত্যুপকার' রচনার উপজীব্য বিষয় কী?
উত্তর: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইতিহাস প্রসিদ্ধ ব্যক্তিদের জীবনের গৌরবদীপ্ত ঘটনা।
৫: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে আর কোন নামে ডাকা হতো?
উত্তর: ‘দয়ার সাগর'।
৬: বিদ্যাসাগর বাংলা বর্ণমালা নতুন করে সাজিয়ে কোন বই প্রকাশ করেন?
উত্তর: বর্ণপরিচয়।
৭: বিদ্যাসাগরকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয় কেন?
উত্তর: সুশৃঙ্খল পদবিন্যাস ও যথাযথ যতিচিহ্ন প্রয়োগের জন্য।
৮: আলী ইবনে আব্বাস কোন খলিফার প্রিয়পাত্র ছিলেন?
উত্তর: খলিফা মামুন।
৯: বাগদাদ কোন খলিফার সময় শ্রেষ্ঠ নগরীতে পরিণত হয়?
উত্তর: খলিফা হারুনর রশীদের সময়।
১০: দামেস্ক কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: দামেস্ক সিরিয়ার রাজধানী।
১১: আলী ইবনে আব্বাস কাকে ‘জগদীশ্বরের শুভদৃষ্টি' প্রার্থনা করেন?
উত্তর: বন্দি ব্যক্তির বাসস্থানের অধিবাসীদের জন্য।
১২: আশ্রয়দাতার বিদায়ের সময় খলিফা কী অনুভব করেন?
উত্তর: সন্তুষ্টি ও প্রীতির প্রকাশ করেন।
১৩: খলিফা মামুনের নির্দেশে আশ্রয়দাতা কোথায় বন্দি হন?
উত্তর: আলী ইবনে আব্বাসের গৃহে।
১৪: ‘প্রত্যুপকার’ রচনায় কী ধরনের শিক্ষা পাওয়া যায়?
উত্তর: নিঃস্বার্থতা, কৃতজ্ঞতা এবং ন্যায়পরায়ণতার শিক্ষা।
১৫: খলিফা মামুনের চরিত্রে কোন গুণের প্রকাশ পাওয়া যায়?
উত্তর: মহত্ত্ব এবং ন্যায়পরায়ণতা।
১৬: আলী ইবনে আব্বাসের আশ্রয়দাতা মুক্তি পাওয়ার পর কী করেন?
উত্তর: নিজ পরিবারের কাছে ফিরে যান।
১৭: আলী ইবনে আব্বাস কোথায় লুকিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন?
উত্তর: এক সম্ভ্রান্ত লোকের বাড়িতে।
📝 সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
- ১. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বংশীয় পদবি কী?
উত্তর: বন্দ্যোপাধ্যায়। - ২. মেদিনীপুর জেলার কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: বীরসিংহ। - ৩. সংস্কৃত ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় পাণ্ডিত্য অর্জন করেন?
উত্তর: ইংরেজি। - ৪. কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ১৮৯১ সালে। - ৫. বাংলা গদ্যের জনক বলা হয় কাকে?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে। - ৬. কার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আশ্রয় গ্রহণ করেন আলী ইবনে আব্বাস?
উত্তর: পদচ্যুত সৈন্যদের। - ৭. আলী ইবনে আব্বাস আশ্রয়দাতার গৃহে কত দিন ছিলেন?
উত্তর: একমাস। - ৮. কোন ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও আলী ইবনে আব্বাস বন্দির মুক্তির কথা বলেন?
উত্তর: মৃত্যু ঝুঁকি।
✅ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (MCQ)
১. আলী ইবনে আব্বাসের আশ্রয়দাতা কোথাকার বাসিন্দা ছিলেন?
সঠিক উত্তর: ক. দামেস্ক২. বন্দি ব্যক্তি কোথায় যেতে চেয়েছিলেন মুক্তির পর?
সঠিক উত্তর: ক. তার পরিবারের কাছে৩. খলিফা আলী ইবনে আব্বাসকে কীভাবে সম্ভাষণ করেন যখন তিনি আশ্রয়দাতাকে মুক্তি দেন?
সঠিক উত্তর: খ. সাদর বচনে৪. খলিফা আশ্রয়দাতাকে মুক্তি দেয়ার পর তাঁকে কী উপহার দেন?
সঠিক উত্তর: খ. অশ্ব, খচ্চর, উষ্ট্র৫. আলী ইবনে আব্বাসের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
সঠিক উত্তর: ক. দয়াশীলতা ও কৃতজ্ঞতা৬. আশ্রয়দাতা তার জীবনের কোন মুহূর্তে আলী ইবনে আব্বাসকে চিনতে পারেন?
সঠিক উত্তর: ক. মুক্তির পর৭. খলিফার মনোভাব পরিবর্তনের কারণ কী ছিল?
সঠিক উত্তর: খ. আলী ইবনে আব্বাসের বিশদ ব্যাখ্যা৮. আলী ইবনে আব্বাস কীভাবে খলিফার মনোভাব বদলাতে সাহায্য করেন?
সঠিক উত্তর: ক. তার হৃদয়বান বক্তব্য দ্বারা৯. আশ্রয়দাতা আলী ইবনে আব্বাসকে কী উপহার দেন?
সঠিক উত্তর: খ. খাদ্য, পানীয় ও অশ্ব১০. আলী ইবনে আব্বাসকে মুক্তি দিতে রাজি হন-
সঠিক উত্তর: খ. খলিফার সম্মতির পর১১. আশ্রয়দাতা কি রকম মানুষ ছিলেন?
সঠিক উত্তর: খ. দয়াশীল🧠 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
- ১. ‘প্রত্যুপকার’ রচনায় আলী ইবনে আব্বাসের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য কীভাবে প্রকাশিত হয়েছে?
- ২. ‘প্রত্যুপকার' গল্পে বন্দি ব্যক্তি কেন আলী ইবনে আব্বাসের গৃহে অন্তরীণ ছিলেন?
