প্রাগৈতিহাসিক যুগ

প্রাগৈতিহাসিক যুগ সম্পূর্ণ PDF নিচে স্ক্রল করে ডাউনলোড বাটন এ ক্লিক করে ডাউনলোড করতে পারবেন তার আগে নিচে সারসংক্ষেপ পড়ে নিন।
প্রাগৈতিহাসিক যুগ ফাইলটির সারসংক্ষেপ নিচে দেওয়া হলো:
- প্রাগৈতিহাসিক যুগ (খ্রি. পৃ. ৫০,০০০-খ্রি. পৃ. ৫০০০)
- পৃথিবী ও জীবনের উৎস
- ক্রমবিকাশ তত্ত্ব
- মানুষের ঘনিষ্ঠ শাখা
- জাতিসমূহের উন্মেষ ও শ্রেণীবিন্যাস
- পাথর যুগ
- পুরোপলীয় সংস্কৃতি
- নবোপলীয় সংস্কৃতি
- এবং তাম্র-প্রস্তর যুগ
পৃথিবী ও জীবনের উৎস:
- পৃথিবীর উৎপত্তি প্রায় ১৫০০ কোটি বছর আগে সূর্যের একটি বিচ্ছিন্ন অংশ থেকে হয়েছে।
- বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন পৃথিবীর প্রাচীনত্ব ৫০০ কোটি বছর।
- প্রায় ১২৫ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে জীবনের স্ফুরণ ঘটে।
- জীবনের বিকাশের ধারাকে বিভিন্ন যুগপর্বে ভাগ করা হয়েছে, যেমন আর্কিওজোয়িক, প্রটেরোজোয়িক, পেলিওজোয়িক, মেসোজোয়িক, সেনোজোয়িক, টার্শিয়ারি, কোয়াটারনারি ও হলসিন।
ক্রমবিকাশ তত্ত্ব:
- জীন ব্যাপ্টিস্ট ডি ল্যামার্ক এবং চার্লস ডারউইন জীবনের ক্রমবিকাশ তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।
- ডারউইনের 'প্রকৃতির নির্বাচন' তত্ত্ব অনুযায়ী যোগ্যতম প্রজাতিই টিকে থাকে।
- ক্রমবিকাশের ধারা ও মানুষের উদ্ভব:
- এপ (বনমানুষ) থেকে মানুষের রূপান্তর একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।
- হোমো স্যাপিয়েন্স বা আধুনিক মানুষের উদ্ভব কোয়াটারনারি যুগে হয়েছে।
- হোমো হাবিলিস, হোমো ইরেকটাস (জাভা মানব, পিকিং মানব, হাইডেলবার্গ মানব), নিয়ান্ডার্থাল মানব এবং ক্রোমেনিয়ন মানব—এগুলো মানুষের ক্রমবিকাশের বিভিন্ন ধাপ।
জাতিসমূহের উন্মেষ ও শ্রেণীবিন্যাস:
- পরিবেশের প্রভাবে জাতিসমূহের বিকাশ ঘটেছে।
- মানবজাতিকে প্রধানত চারটি মূল শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে: অস্ট্রলয়েড, মঙ্গলয়েড, নিগ্রোয়েড এবং ককেশীয়।
- এই প্রধান শ্রেণীগুলোকে আবার তিনটি মহাজাতিতে ভাগ করা হয়েছে: ইউরোপিয়য়েড, নিগ্রোয়েড-অস্ট্রলয়েড এবং মঙ্গোলয়েড।
পাথর যুগ:
- লিখন পদ্ধতির উদ্ভাবনের পূর্বের সময়কে প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলা হয়।
- লুইস হেনরি মর্গান মানবসমাজের ক্রমবিকাশকে বন্যদশা, বর্বরদশা ও সভ্যদশা—এই তিনটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন।
- পাথর যুগকে প্রধানত পুরোপলীয় যুগ, মধ্যপলীয় যুগ এবং নবোপলীয় যুগে বিভক্ত করা হয়।
পুরোপলীয় যুগ (খ্রি. পৃ. ৫০,০০০-খ্রি. পৃ. ১৫০০০): এটি ছিল প্রাচীন পাথরের যুগ। মানুষ অমসৃণ পাথরের অস্ত্র ব্যবহার করত এবং যাযাবর শিকারি জীবনযাপন করত। এই যুগকে প্রাথমিক, মধ্য এবং শেষ—এই তিনটি উপভাগে ভাগ করা হয়েছে।
মধ্য পুরোপলীয় সংস্কৃতি: নিয়ান্ডার্থাল মানব এই যুগে বসবাস করত এবং উন্নত পাথরের অস্ত্র তৈরি করত।
শেষ পুরোপলীয় সংস্কৃতি: হোমো স্যাপিয়েন্সরা এই যুগে অস্ত্র নির্মাণে আরো দক্ষতা দেখায় এবং চিত্রাঙ্কন ও ভাস্কর্যের মতো শিল্পকর্মের বিকাশ ঘটে।
মানুষের জীবনধারা:
- প্রাগৈতিহাসিক যুগ সম্পর্কে জানার জন্য ফসিল, ব্যবহার্য দ্রব্যসামগ্রী, হাতিয়ার ও গুহাচিত্রের ওপর নির্ভর করতে হয়।
- পাথর যুগের মানুষের প্রধান কাজ ছিল জীবিকার জন্য পাথর ভাঙা, কাটা ও ব্যবহার উপযোগী করে তোলা।
- পুরোপলীয় যুগে মানুষ ছিল শিকারি ও যাযাবর, আর নবোপলীয় যুগে তারা কৃষিভিত্তিক স্থায়ী বসতি গড়ে তোলে।