রসায়ন ১ম পত্র
এইসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে পাঠ্যবই এর গুরুত্ব
এইসএসসি পরীক্ষা শিক্ষাব্যবস্থার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্তর, যা উচ্চশিক্ষার দরজা উন্মুক্ত করে দেয়। এ পরীক্ষায় সফলতা অর্জনের জন্য কেবল মুখস্থ নয়, বরং সুপরিকল্পিত প্রস্তুতি অপরিহার্য। আর সেই প্রস্তুতিকে সহজ ও কার্যকর করে তোলে একটি সমৃদ্ধ পাঠ্যবই। আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি রসায়ন ১ম পত্র পাঠ্যবই ।
এইচএসসি রসায়ন ১ম পত্র (Chemistry1 st Paper) পাঠ্যবই
শ্রেণি: একাদশ–দ্বাদশ (Class 11–12)
বিষয় কোড: ১৭৫
বিষয়: রসায়ন ১ম পত্র (Chemistry 1st Paper) ডক্টর সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী
PDF ফরম্যাট: সম্পূর্ণ (ফ্রি ডাউনলোডযোগ্য)
বিষয়বস্তু
১. পদার্থের অবস্থা: বস্তুর তিন অবস্থা (কঠিন, তরল ও গ্যাসীয়), গ্যাসের সূত্রসমূহ এবং এদের ব্যবহার করে গণনা; গ্যাসের গতিতত্ত্ব সম্মন্ধে প্রাথমিক ধারণা, আদর্শ ও বাস্তব গ্যাস, তরল ও তরলের বাষ্পীয় চাপের উপর তাপমাত্রা প্রভাবকে গতিতত্ত্বের আলোকে আলোচনা; কঠিন পদার্থের প্রকৃতি; একক কোষ; সাধারণ ধাতুসমূহের কেলাস আকার এবং NaCl এবং CSCI এর কেলাস প্রকৃতি।
২. পরমাণুর গঠন: ডালটনের পারমাণবিক মতবাদ; পরমাণুর মূল কণিকাসমূহ, রাদারফোর্ড ও বোরের এটম মডেল; আপেক্ষিক, আণবিক; আইসোটোপিক ও পারমাণবিক ভর; মৌলের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ও এদের ব্যবহার। কোয়ান্টাম সংখ্যা, পলির বর্জন নীতি; ইলেকট্রনিক বিন্যাস, বক্স বিন্যাস; ও অর্বিটালের আকৃতি; আয়নীকরণ শক্তি ও ইলেকট্রন আসক্তি।
৩. পর্যায় সারণি: নিউল্যান্ডের অষ্টক সূত্র, লুথার মেয়ার ও মেন্ডেলিফের পর্যায় সূত্র। ইলেকটনের বিন্যাস এবং আধুনিক পর্যায় সারণিতে ইলেকট্রনের বিন্যাস অনুসারে মৌলসমূহের শ্রেণীবিভাজন। পর্যায় সারণি এবং সে অনুযায়ী মৌলসমূহের শ্রেণীবিভাজন।
৪. রাসায়নিক গণনাঃ স্থল সংকেত: আণবিক সংকেত। অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা; মোলের ধারণা; এই সম্পর্কিত গাণিতিক জ্ঞান আহরণ; রাসায়নিক সমীকরণ ও অম্ল-ক্ষারভিত্তিক বিভিন্ন প্রণালীর গণনা।
৫. জারণ-বিজারণ: জারণ-বিজারণ; জারক ও বিজারকের বিভিন্ন ধরনের সংজ্ঞা, জারণ সংখ্যা, জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া; পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট, পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট: আয়োডিন থায়োসালফেটের বিভিন্ন বিক্রিয়া। জারণ-বিজারণভিত্তিক রাসায়নিক গণনা।
৬. রাসায়নিক বন্ধন: পরমাণুর পরস্পর বন্ধনের শক্তিসমূহের প্রকৃতি, বিভিন্ন ধরনের বন্ধন; যথা-আয়নিক, সমযোজী, সন্নিবেশ সমযোজী, ধাতব, বন্ধন ধরনের সঙ্গে যৌগের ধাতুর ধর্মের সম্পর্ক (উদাহরণসহ); হাইড্রোজেন বন্ধন ও সংশ্লিষ্ট যৌগসমূহের ধর্ম, হাইব্রিডাইজেশন (সংকরণ), দ্রবণে আয়নের জলযোজনের প্রকৃতি ও পানিতে আয়নিক যৌগের দ্রাব্যতা, সরল যৌগসমূহের অণুর আকৃতি (৪ জোড়া ইলেকট্রন পর্যন্ত)।
৭. রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শক্তির রূপান্তর: রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শক্তির রূপান্তর। তাপ শোষণকারী ও তাপ উৎপাদনকারী বিক্রিয়াসমূহের উদাহরণ; কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ার এনথালপির পরিবর্তন; শক্তির অবিনশ্বরত।; হেসের সূত্র। দহন তাপ, প্রশমন তাপ; বাষ্পীকরণ তাপ; সহজ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপীয় পরিবর্তন হিসাব; হেসের সূত্র প্রয়োগ করে সহজ শক্তি ছক (energy diagram) হতে এনথালপি পরিবর্তনের হিসাব।
৮. তরল-তরল দ্রবণঃ সম্পূর্ণ মিশ্রণীয় তরলযুগলের দ্রবণ, রাউন্টের সূত্র; বাষ্পচাপ-সংযুক্তি এবং সস্ফুটনাঙ্ক সংযুক্তির লেখচিত্রসমূহ; আংশিক পাতন; রাউন্টের সূত্রের সীমাবদ্ধতা ও তার কারণ।
৯. রাসায়নিক সাম্যাবস্থা: সাম্যাবস্থা ও এর গতিশীলতা; কতিপয় উভয়মুখী বিক্রিয়া যেমন তাপের সাহায্যে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, আর্দ্র কপার সালফেট ইত্যাদির পরিবর্তন; তরলে কঠিন পদার্থের দ্রাব্যতা ইত্যাদি। গ্যাসীয় অবস্থার সাম্যাবস্থা ও সাম্যাবস্থা দ্রবণে Kp এবং Kc হিসাব করা (ভরের সূত্র প্রয়োগ করে উপপাদন); সহজ প্রক্রিয়াসমূহ যাতে বিযোজন হয় যেমন N₂O₂, HI, PCI5, COCI, ইত্যাদি প্রক্রিয়ার রাসায়নিক সাম্যাবস্থা ব্যাখ্যা; গাঢ়ত্ব, তাপ, চাপ, প্রভাবক ইত্যাদির প্রভাব ও লা শ্যাটেলিয়ারের নীতি। গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক পদ্ধতিসমূহে সাম্যাবস্থা (উদাহরণ-অ্যামোনিয়া ও সালফিউরিক এসিড প্রস্তুতি)।
১০. অম্ল-ক্ষারক সাম্যাবস্থা: ব্রনস্টেড-লাউরির সূত্রের সংজ্ঞা; অনুবন্ধী অম্ল ও অনুবন্ধী ক্ষারক; প্রশমন বিক্রিয়া; দ্রবণের pH; অম্ল, ক্ষারক ও বাফার দ্রবণের pH: গণনার পদ্ধতি; নির্দেশক, টাইট্রেশন; সহজ অম্ল ক্ষারক টাইট্রেশন; শিল্পক্ষেত্রে জৈবিক পদ্ধতিতে এবং বিশ্লেষণিক রসায়নে বাফার দ্রবণের গুরুত্ব আলোচনা।
১১. তড়িৎ পরিবাহিতা ও তড়িৎ বিশ্লেষণঃ তড়িৎ পরিবাহিতা; গলিত অবস্থায় বা দ্রবণে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের তড়িৎ পরিবাহিতা; ফ্যারাডের সূত্র ও এর ব্যবহার; বিদ্যুৎ অপরিবাহী বস্তুসমূহ; তড়িৎ বিশ্লেষণ; শিল্পক্ষেত্রে তড়িৎ বিশ্লেষণের প্রয়োগ।
১২. তড়িৎ রাসায়নিক কোষঃ জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া হতে ইলেকট্রোড পোটেনশিয়াল E° নির্ণয়, ই. এম. এফ. [E. M. F] নির্ণয়; কতিপয় সাধারণ তড়িৎ রাসায়নিক সেলের গঠন; প্রাইমারি সেল, শুষ্ক কোষ বা ব্যাটারি, সঞ্চয় ব্যাটারি ইত্যাদি; pH মিটার ব্যবহার করে কোন দ্রবণের অম্লত্ব নির্ণয় পদ্ধতি ও এর ব্যাখ্যা।
১৩. রাসায়নিক গতিবিদ্যা (বিক্রিয়ার হার বা বেগ): বিক্রিয়ার গতি, বিক্রিয়ার গতি প্রভাবান্বিত করার উপায়; বিক্রিয়ার ক্রম; বিক্রিয়ার আণবিকত্ব; শূন্যক্রমের বিক্রিয়া; প্রথম ক্রমের বিক্রিয়া; দ্বিতীয় ক্রমের বিক্রিয়া; পরীক্ষালব্ধ ডাটা ও বিক্রিয়াক্রম হিসেব, বিক্রিয়ার গতির উপর তাপ, চাপ ও প্রভাবকের প্রতিক্রিয়া; প্রভাবক বিবর্ধক, প্রভাবক বিষ ইত্যাদি। জৈব প্রভাবক এনজাইমের ব্যবহার; কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে ও বায়োলজিক্যাল প্রক্রিয়ায় প্রভাবকের ব্যবহারজনিত সুফল আলোচনা।
১৪. মৌলসমূহের পর্যায়ভিত্তিক ধর্ম: পরমাণুর ইলেকট্রন সজ্জা এবং পর্যায় সারণি, মৌলের ভৌত ধর্মের পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন, সারণির তৃতীয় পর্যায়ে (সোডিয়াম থেকে ক্লোরিন) মৌলসমূহের ধর্মের পরিবর্তনের ধারা, বিশেষত অক্সিজেন, ক্লোরিন এবং পানির সাথে বিক্রিয়া; তাদের অক্সাইডসমূহের সংকেত ও অম্লীয়/ক্ষারকীয় ধর্ম এবং ক্লোরাইডসমূহের সংকেত ও পানির সাথে বিক্রিয়া।
১৫. নিষ্ক্রিয় গ্যাস: নিষ্ক্রিয় গ্যাসের উৎস, ভৌত ধর্ম এবং ইলেকট্রন সজ্জা। রাসায়নিক বন্ধনে এর গুরুত্ব। নিষ্ক্রিয়তা; নিষ্ক্রিয় গ্যাসের যৌগসমূহ; ব্যবহার।
১৬. গ্রুপ-IA ও গ্রুপ-IIA মৌলসমূহের রসায়ন: ৪-ব্লক মৌলসমূহের উৎস, ইলেকট্রন সজ্জার প্রেক্ষিতে ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম: আয়নীকরণ শক্তি; হাইড্রোজেন; অক্সিজেন; ক্লোরিন ও পানির সাথে মৌলের বিক্রিয়া; পানির সাথে অক্সাইডসমূহের বিক্রিয়া, জারণ সংখ্যা, যৌগসমূহের দ্রাব্যতা প্রবণতা এবং তাপসহতা, শিখার বর্ণ, সোডিয়াম; সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড; সোডিয়াম কার্বনেট এবং সোডিয়াম ক্লোরেট (1) এর শিল্প উৎপাদন ও ব্যবহার।
১৭. গ্রুপ-IIIA ও গ্রুপ-IVA মৌলসমূহের রসায়ন: উৎস, মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম, বোরন, অ্যালুমিনিয়াম, কার্বন, সিলিকন ও লেডের অক্সাইড ও হাইড্রোক্সাইড; বক্সাইটের বিশুদ্ধিকরণ ও অ্যালুমিনিয়ামের নিষ্কাশন; বোরন, অ্যালুমিনিয়াম, কার্বন ও সিলিকন ক্লোরাইডসমূহের আর্দ্রবিশ্লেষণ; জারণ অবস্থা; কার্বন; সিলিকন; জারমেনিয়াম ও সিলিকেটের ব্যবহার।