রুদ্র প্রকৃতি
■ প্রথম সেশন:
■ এই সেশনে তোমরা নিজেরা আলোচনা করবে তোমাদের এলাকায় কোন কোন প্রার দুর্যোগ সংঘটিত হয়। বছরের কোন সময়ে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে তা নিয়েও তোমরা আলোচনা করবে। জটি দলে আলোচনা করে করবে। পাঁচ/ছয় জনের দল গঠন করে নাও।
■ দলে আলোচনা করে তোমাদের এলাকায় যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘ হয় তার একটি তালিকা তৈরি করো। দলে আলোচনা করে নিচের ছকটি পুরণ করো।
নমুনা উত্তর :
আমাদের এলাকার
যেসব
প্রাকৃতিক
দুর্যোগ
সংঘটিত
হয় |
বছরের যে
সময়ে
সংঘটিত
হয় |
আমাদের ধারণায়
দেশের
অন্য
যেসব
অঞ্চলে
এই
দুর্যোগ
দেখা
যায় |
বন্যা |
মে ও জুন মাস |
পার্বত্য অঞ্চল ছাড়া দেশের প্রায় সকল স্থানে বন্যা দেখা যায়। |
ঘূর্ণিঝড় |
জুন, জুলাই, অক্টোবর ও নভেম্বর মাস |
উপকূলীয় অঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় দেখা যায়। |
জলোচ্ছ্বাস |
বছরের মাঝামাঝি সময় |
উপকূলীয় অঞ্চল । |
ভূমিকম্প |
যেকোনো সময় |
ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা। |
টর্নেডো |
গ্রীষ্মকাল |
যেকোনো জেলাতে ঘটতে পারে। |
খরা |
শুষ্ক মৌসুম |
উত্তরাঞ্চলের
জেলাসমূহে বেশি দেখা যায়। |
■ প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেন ঘটে এবং এ দুর্যোগ সম্পর্কে ও দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়া নিয়ে তোমাদের এলাকায় কোনো লোককাহিনী থাকলে তা অনুসন্ধান করবে। এ জন্য দলের সদস্যদের মধ্য থেকে দুইজন একটি দুর্যোগের দায়িত্ব নেবে। তালিকার দুর্যোগের সংখ্যা বেশি হলে দলের একজন একটি দুর্যোগের দায়িত্ব নেবে। তবে যে বিষয়টি মনে রাখবে কোনো দুর্যোগ যেন বাদ না পড়ে। দুইজন একসাথে দায়িত্ব নিলে, এমনভাবে নিবে যেন একত্রে কাজ করতে পারো।
■ একজন/দুইজন একসাথে যে দুর্যোগের দায়িত্ব নিলে, তা নিয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য পরিবার ও প্রতিবেশীর কার কার নিকটে যাবে তা ঠিক করে নাও। পরিবারের বাবা, মা এবং প্রতিবেশীর একাধিক বয়স্ক ব্যক্তির নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে।
■ পরিবার ও প্রতিবেশীর নিকট থেকে বাড়ির কাজ হিসেবে শ্রেণির বাইরে তথ্য সংগ্রহ করবে। তথ্য সংগ্রহের জন্য নিচের ছকটি ব্যবহার করো। পৃথক কাপজে একটি ছক তুমি / তোমরা তৈরি করেও নিতে পারো।
নমুনা উত্তর :
আমার/আমাদের
দায়িত্বপ্রাপ্ত
প্রাকৃতিক
দুর্যোগের
শিরোনাম |
তথ্য প্রদানকারীর
নাম
ও
সম্পর্ক |
কেন এই
দুর্যোগ
সংঘটিত
হয় |
দুর্যোগ সম্পর্কে
এলাকার
কোনো
লোককাহিনী
থাকলে- |
দুর্যোগ থেকে
রক্ষা
পাওয়া
নিয়ে
এলাকার
কোনো
লোককাহিনী
থাকলে- |
অনাবৃষ্টি |
নাম : নূরজাহান বেগম। সম্পর্ক : দাদি। |
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্ষাকালে সঠিক পরিমাণে বৃষ্টি না হলে। |
কোনো এলাকায় অনাবৃষ্টির সময় বৃষ্টি নামানোর জন্য বর্ষাকালে ব্যাঙের বিয়ে দিতে হবে বলে বিশ্বাস করে। |
দুটি ব্যাঙের মধ্যে বিয়ে দিলে অনাবৃষ্টির অবসান ঘটে বৃষ্টি নামবে। |
শিলাবৃষ্টি |
নাম মোঃ আবদুল করিম। সম্পর্ক : নানা। |
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শিলা বৃষ্টি হয়। |
শিলাবৃষ্টি প্রবণ এলাকায় এক ধরনের গুণিন পাওয়া যেত যারা মন্ত্র পড়ে আকাশে কালো মেঘ এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় নিয়ে যেতে পারবে বলে লোককথা প্রচলিত ছিল। |
শিলাবৃষ্টি গুণিন ব্যক্তিদের চাষিরা আমন্ত্রণ করে নিজ এলাকায় নিয়ে যেত এবং প্রচণ্ড ঝড়ের মধ্যে তারা আকাশের দিকে তাকিয়ে মন্ত্র পড়ে ঝড়কে নিয়ন্ত্রণ করত বলে স্থানীয় মানুষেরা বিশ্বাস করত। |
■ দ্বিতীয় সেশন:
■ তোমরা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছ। প্রাকৃ দুর্যোগ সম্পর্কে বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে নানা তথ্য পেয়েছ। তথ্য বিশ্লেষণের জন্য তোমরা পূর্বের দলে বসে যাও।
■ সব দলের বিভিন্ন সদস্য বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছ। সবগুলো দুর্যোগ সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে আলোচনা করো। দুর্যোগ নিয়ে নানা লোককাহিনী পেয়েছ। সবগুলোকে একত্র করে নিচের ছকে লিখে ফেলো। তোমাদের নিজেদের মতামত এখানে যুক্ত করো। এ সময়ে অনুসন্ধানী পাঠ বইয়ের নবম অধ্যায় থেকে 'বাংলাদেশ ও এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন ভূ-প্রাকৃতিক দুর্যোগ' অংশ পড়ে নাও।
নমুনা উত্তর :
বছরের কোন সময় এবং কেন দুর্যোগ সংঘটিত হয় |
দুর্যোগ সম্পর্কে স্থানীয় লোককাহিনী |
বন্যা: মে ও জুন মাসে সংঘটিত হয়। অতিবৃষ্টি, নদীর নাব্যতা হ্রাস, জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতি কারণে বন্যা সংঘটিত হয়। |
বন্যা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি লোককাহিনি প্রচলিত রয়েছে। কথিত আছে, পাহাড়ের উপরে থাকা গ্রামবাসীকে সতর্ক করে দেওয়ার পরেও তারা একটি ড্রাগনকে কেটে খেয়ে ফেলেছিল এবং তার শাস্তি হিসেবে গভীর রাতে মাটি ফেটে পানি বের হয়ে পুরো এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। |
খরা : শুষ্ক মৌসুমে খরা সংঘটিত হয়। দীর্ঘকালীন শুষ্ক আবহাওয়া ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে খরার সৃষ্টি হয়। |
অনাবৃষ্টির ফলে খরা সৃষ্টি হয়। কোনো এলাকায় অনাবৃষ্টির সময় আকাশ থেকে বৃষ্টি নামিয়ে আনার জন্য ব্যাঙের বিয়ে দেওয়ার একটি নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। |
ভূমিকম্প : সমগ্র পৃথিবীতে বিভিন্ন স্থানে প্রায় সারাবছরই বিভিন্ন মাত্রার ভূমিকম্প হয়। টেকটনিক প্লেটের স্থানান্তরের জন্য প্লেটের মধ্যে যে শক্তি সঞ্চিত হয় তা ভূমিকম্প আকারে বেরিয়ে আসে। |
বাংলাদেশের অনেক স্থানে ভূমিকম্প সম্পর্কে প্রচলিত গল্প আছে যে, বিশাল পৃথিবী অনেক বড় একটি ষাঁড়ের শিং এর উপর রাখা আছে। পৃথিবীর ভার বহন করতে করতে ষাঁড়টি যখন ক্লান্ত হয়ে যায় তখন সেটি তার একটির উপর থেকে সরিয়ে অন্য শিং এর উপর নিয়ে যায়। এক থেকে অন্য শিং এর উপর স্থানান্ডুর করার সময় পৃথিবীটাকে। একটি ঝাঁকুনির ভেতর দিয়ে যেতে হয় এবং পৃথিবীর মানুষ ভূমিকম্প অনুভব করে। |
শিলাবৃষ্টি: গ্রীষ্ম মৌসুমে। |
শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয় বলে চাষিরা এক ধরনের গুণিনদের আমন্ত্রণ করে নিজেদের এলাকায় নিয়ে যেত এবং প্রচণ্ড ঝড়ের মধ্যে তারা আকাশের দিকে তাকিয়ে মন্ত্র পড়ে ঝড়কে নিয়ন্ত্রণ করতো বলে স্থানীয় মানুষেরা বিশ্বাস করতো। |
■ তৃতীয় সেশন:
■ তোমরা দলীয়ভাবে আলোচনা করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছ, তা শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীর সাথে শেয়ার করো। অনুসন্ধানী পাঠ বইয়ে লেখা থেকে অথবা পোস্টার পেপারে লিখে উপস্থাপন করো।
নমুনা উত্তর : দলীয় সিদ্ধান্তসমূহ একটি পোস্টার পেপারে লিখে উপস্থাপনা করা হলো-
প্রাকৃতিক দুর্যোগ
সৃষ্টির
কারণ
এবং
মোকাবেলায়
করণীয়
ভূমিকম্প সৃষ্টির কারণ : বেশিরভাগ ভূমিকম্প সৃষ্টির কারণ হলো ভূগর্ভে ফাটল ও স্তরচ্যুতি হওয়া। কিন্তু অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধ্বস, খনিতে বিস্ফোরণ বা ভূগর্ভস্থ নিউক্লিয়ার গবেষণায় ঘটানো। পরীক্ষা থেকেও ভূমিকম্প সংঘটিত হয়।
ভূমিকম্প মোকাবেলায় করণীয় :
• রান্নাঘরে থাকলে গ্যাসের চুলা বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে আসতে হবে।
• বীম, কলাম ও পিলার ঘেঁষে আশ্রয় নিতে হবে।
• শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে স্কুল ব্যাগ মাথায় শক্ত বেঞ্চ অথবা শক্ত টেবিলের নিচে আশ্রয় নিতে হবে। • ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু বাড়ি, বৈদ্যুতিক থেকে দূরে খোলা জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে। খরা সৃষ্টির কারণ স্বাভাবিকের তুলনায় পরিমাণ কম হলে অথবা এক থেকে দুই বছর কোনো এলাকায় বৃষ্টিপাত না হলে খরা সৃষ্টি হয়।
খরা মোকাবেলায় করণীয় : পূর্বপ্রস্তুতি থাকলে খরা মোকাবেলা করা সহজ হয়। এক্ষেত্রে বিকল্প সেচের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। বন্যা সৃষ্টির কারণ :
• অতি বৃষ্টির কারণে বন্যা সৃষ্টি হয়।
• নদীর নাব্যতা হ্রাস পেলে বন্যা সৃষ্টি হয়।
• জলোচ্ছ্বাসের কারণে বন্যা সৃষ্টি হয়।
• পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে বন্যা সৃষ্টি হয়। বন্যা মোকাবেলায় করণীয় :
• বন্যাকালীন সময়ে বন্যাকবলিত এলাকায় মানুষের যত দ্রুত সম্ভব আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা উঁচুস্থানে আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে। • শিশু, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও নারীদের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
• খাবার, পানি, ওষুধ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইত্যাদি ঘরের উঁচু স্থানে কিংবা সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে ফেলতে হবে।
• একটি দলের উপস্থাপন শেষে অন্যান্য দলের মতামত গ্রহণ করবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ হিসেবে কোনো নতুন পয়েন্ট যুক্ত করা প্রয়োজন মনে হলে তা করে নাও।
নমুনা উত্তর : প্রাকৃতিক দুর্যোগের অন্যতম একটি কারণ হলো জলবায়ু পরিবর্তন।
* এভাবে সব দলের কাজ উপস্থাপন করো এবং দুর্যোগের কারণ সম্পর্কে ধারণা অর্জন করো।
চতুর্থ সেশন:
* এই সেশনে তোমরা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘটিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে অনুমান করার চেষ্টা করবে।
* শিক্ষকের সাহায্যে একটি গ্লোবের ব্যবস্থা করো।
* গ্লোব দেখে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করো। বিশেষ করে ভূমির গঠন ও সামুদ্রিক অবস্থান পর্যবেক্ষণ করো। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের সাপেক্ষে সূর্যের অবস্থান কল্পনা করো। পৃথিবীর আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি বিবেচনায় নাও।
* তোমাদের শ্রেণির সকলে মিলে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ পৃথিবীর কোন কোন অঞ্চলে সংঘটিত হয় তা অনুমান করো এবং সেটির কারণ বিশ্লেষণ করো। সকলে মিলে নিচের ছক পূরণ করো। এ সময়ে অনুসন্ধানী পাঠ বইয়ের নবম অধ্যায় থেকে 'বাংলাদেশ ও এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন ভূ-প্রাকৃতিক দুর্যোগ' অংশ পড়ে নাও ।
নমুনা উত্তর :
প্রাকৃতিক দুর্যোগ |
পৃথিবীর যেসব
অঞ্চলে
সংঘটিত
হয় |
যে কারণে
দুর্যোগ
সংঘটিত
হয়
বলে
আমাদের
মনে
হয়েছে |
বন্যা |
বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, চীন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বন্যা সংঘটিত হয়। |
১. অতি বৃষ্টির কারণে বন্যা সৃষ্টি হয়। ২. নদীর নাব্যতা হ্রাস পেলে বন্যা সৃষ্টি হয়। ৩. জলোচ্ছ্বাসের কারণে বন্যা সৃষ্টি হয়। ৪. পাহাড় থেকে নেমে সো ঢলের কারণে বন্যা সৃষ্টি হয়। |
ঘূর্ণিঝড় |
বাংলাদেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন প্রভৃতি। |
বায়ুমণ্ডলের চাপের তারতম্যের কারণে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়। |
জলোচ্ছ্বাস |
বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সমস্ত উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস সংঘটিত হয়। |
ঘূর্ণিঝড়ের সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। |
টর্নেডো |
বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সংঘটিত হয়। |
স্থলভাগের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বৃদ্ধি হওয়ার ফলে টর্নেডোর সৃষ্টি হয়। |
খরা |
বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সংঘটিত হয়। |
স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হলে অথবা এক থেকে দুই বছর কোনো এলাকায় বৃষ্টিপাত না হলে খরা সৃষ্টি হয়। |
ভূমিকম্প |
বাংলাদেশ, জাপানসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংঘটিত হয়। |
টেকটনিক প্লেটের স্থানান্তরের জন্য প্লেটের মধ্যে যে শক্তি |
অগ্নুৎপাত |
জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন এবং প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে প্রচুর আগ্নেয়গিরি আছে যাতে অনুৎপাত ঘটে। এছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অগ্নুৎপাত ঘটে। |
সজ্জিত হয় তার ফলে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়। |
সুনামি |
গভীর সমুদ্র বা মহাসাগর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সুনামি সংঘটিত হয় । |
আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাত সৃষ্টি হয়। |
পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশন
* তোমাদের নিজ নিজ এলাকায় এবং পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘটিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও তার কারণ বিশ্লেষণ করেছ। এবার দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য তোমাদের কী কী করণীয় আছে, তা দলীয় আলোচনা করে নির্ধারণ করো।
* দলগত সিদ্ধান্ত অন্যান্য সকল শিক্ষার্থীর সামনে উপস্থাপন করো। অন্যান্যের মতামত গ্রহণ করো এবং করণীয়গুলো অনুশীলন বইয়ে লিখে রাখো। এ সময়ে অনুসন্ধানী পাঠ বইয়ের নবম অধ্যায় থেকে 'বাংলাদেশ ও এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন ভূ-প্রাকৃতিক দুর্যোগ' অংশ পড়ে নাও।
* দুর্যোগ মোকাবেলায় করণীয়
নমুনা উত্তর যেকোনো দুর্যোগের সময় আতঙ্কিত না হয়ে কীভাবে তা মোকাবেলা করা যাবে সে বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দুর্যোগ মোকাবেলায় করণীয়সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো-
২. দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
৩. দুর্যোগের সঠিক কারণ সম্পর্কে জেনে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হবে।
৪. দুর্যোগপ্রবণ এলাকা ও আশেপাশের এলাকার জনগণকে সর্বদা দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।
৫. দুর্যোগ পরবর্তী পুনর্বাসন ও উদ্ধার কার্যক্রম দ্রুত করতে হবে।
৬. প্রাথমিক চিকিৎসা কিট, শুকনা খাবার এবং পানি রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. দুর্যোগ মোকাবেলায় শুষ্ক খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে রাখতে হবে।
৮. দুর্যোগ পরবর্তীতে উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য উদ্ধারকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখতে হবে।
৯. দুর্যোগের আগাম বার্তা পাওয়ার সাথে সাথে দুর্যোগপ্রবণ এলাকা থেকে সাধারণ জনগণ ও গৃহপালিত পশুপাখিকে দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে।
১০. চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং চিকিৎসক ও নার্স সর্বদা প্রস্তুত রাখতে হবে।
১১. দুর্যোগের সময় যথাসম্ভব উঁচু ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে।
১২. বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সংবাদমাধ্যমের সাহায্যে দুর্যোগ প্রতিরোধে করণীয় কী তা প্রচার করে জনগণকে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
১৩. দুর্যোগের সময় মনোবল না হারিয়ে এসব কার্যক্রম পরিচালনায় সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।
দুর্যোগ মোকাবেলায় দলগতভাবে করণীয় বের করেছ। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থী এবং কমিউনিটির লোকজনকে এ বিষয়ে সচেতন করার জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করো। করণীয়গুলো নিয়ে পোস্টার ও ব্যানার তৈরি করে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ঝুলিয়ে দিতে পারো, কোনো র্যালি করতে পারো অথবা তোমাদের মতো করে অন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারো।
নমুনা উত্তর :
দুর্যোগ মোকাবেলায় করণীয় • শুকনা খাবার (যেমন- চিড়া, মুড়ি) সাথে রাখুন। • ঝড় শুরু হলে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিন। • প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সাথে রাখুন। • মোবাইল ফোন আগেই চার্জ দিয়ে রাখুন। • কর্তৃপক্ষ সংকেত দিলে আশ্রয়কে অবস্থান নিন। • ঝড় বা বজ্রপাতের সময় গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটির নিচ থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকুন। • নিয়মিত আবহাওয়ার পূর্বাভাস শুনুন। •ঝড় ও বজ্রপাতের সময় বাড়ির ধাতব কল, জানালার গ্রিল। লোহার পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। |
* পোস্টার ও ব্যানার ঝুলিয়ে রাখার জন্য এমন স্থান নির্বাচন করো, যেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কমিউনিটির লোকজনও দেখতে পারে।
* বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থী এবং কমিউনিটির লোকজনকে এ বিষয়ে সচেতন করার জন্য যেই পরিকল্পনা করো না কেন দলের সকলে মিলে কাজ করবে কিন্তু। কেউ পোস্টার তৈরি করবে, কেউ ব্যানার তৈরি করবে, কেউ স্থান নির্বাচন করবে ইত্যাদি।
সপ্তম সেশন:
* প্রাকৃতিক দুর্যোগসমূহ সঞ্জীব ও অজীব উপাদানের উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা দলে আলোচনা করে বের করবে। এ সময়ে অনুসন্ধানী পাঠ বইয়ের নবম অধ্যায় থেকে সঞ্জীব ও অজীব উপাদানের উপর ভূ-প্রাকৃতিক ঘটনাবলির প্রভাব" অংশ পড়ে নাও। এখানে তোমার এলাকার প্রাকৃতিক দুর্যোগকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে।
* কোন ধরনের দুর্যোগে সজীব ও অজীব উপাদানের উপর কী ধরনের প্রভাব পড়ে তা নিচের ছকে বুলেট পয়েন্ট আকারে লিখে ফেলো।
নমুনা উত্তর :
প্রাকৃতিক দুর্যোগ |
সজীব ও
অজীব
উপাদানের
উপর
প্রভাব |
অগ্ন্যুৎপাত |
• ভূমিকম্পের
ফলে ভূমিধস ঘটে, এছাড়া কোনো স্থানের মাটি নিচের দিকে দেবে গিয়ে জলাভূমি সৃষ্টি করে। এর ফলে বাস্তুতন্ত্রের সজীব ও অজীব উপাদানের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। |
দাবানল |
• অগ্ন্যুৎপাতের
ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা লাভা এবং পরে ছাই দিয়ে ঢেকে যায়। এর ফলে মাটির উপর আগ্নেয় শিলার স্তর পড়ে। এতে মাটির উর্বরতা হ্রাস পায়। ফলে নতুন উদ্ভিদ বা ফসল জন্মায় না। আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস মানুষ ও অন্যান্য জীবজন্তুর ক্ষতিসাধন করে। |
বন্যা |
• দাবানলের
ফলে বিস্তর এলাকা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এর ফলে ঐ এলাকার উদ্ভিদ ও প্রাণীর বাসস্থান ধ্বংসসহ অসংখ্য জীব মারা যায় বা অন্যত্র যেতে বাধ্য হয়। |
ঘূর্ণিঝড় |
• হঠাৎ
বা আকস্মিক বন্যা দেখা দিলে মাঠের শাকসবজি ফসল ধ্বংস হয়ে যায়। • অনেক
গবাদিপশু মারা যায়। • মানুষ
ও বিভিন্ন প্রাণীর বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, স্থাপনার বেশ ক্ষতি সাধিত হয়। বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি দেখা দেয়। |
প্রাকৃতিক
দুর্যোগ |
• ঘূর্ণিঝড়ের
ফলে মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয় • গাছপালা
ভেঙে যায়। • বিদ্যুৎ
বিপর্যয় দেখা দেয়। • বনভূমি
ক্ষতিগ্রস্ত হয়। • উপকূলীয়
এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের ফলে জলাবদ্ধতার। • অনেক
পশুপাখির মৃত্যু হয়। |
* তোমাদের দলের আলোচনা এবং দলীয় সিদ্ধান্তসমূহ অন্যান্য দলের সঙ্গে শেয়ার করো। অন্যান্য দলের দেওয়া মতামত গ্রহণ করে তোমাদের দলগত সিদ্ধান্তসমূহ প্রয়োজনে পরিবর্তন করো। এভাবে সকল দলের কাজ উপস্থাপন করো।
* অভিজ্ঞতার কাজগুলো করতে তোমাদের কেমন লেগেছে?
নমুনা উত্তর : বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তা কীভাবে মোকাবেলা করা যায় সেই অভিজ্ঞতা আমাদের দারুণ লেগেছে । প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্বারা কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয় এবং কীভাবে আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করতে পারি সে বিষয়ে শ্রেণিকক্ষে দলগত আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
* বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থী এবং কমিউনিটির লোকজনকে সচেতনতা কার্যক্রম প্রাকৃতিক দুর্যোগ হ্রাস করতে কীভাবে ভূমিকা রাখবে বলে তুমি মনে করো?
নমুনা উত্তর : প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম হলো বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থী এবং কমিউনিটির লোকজনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। যদি শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির লোকজনদের দুর্যোগ এর ক্ষয়ক্ষতি এবং কীভাবে তা মোকাবেলা করা যাবে সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায় তাহলে দুর্যোগের ক্ষতির পরিমাণ অনেক হ্রাস পাবে। সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে কোন কোন দুর্যোগ কেমন প্রকৃতির হয়, কী ধরনের ক্ষতি সাধিত হয় এবং কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় সে সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়।
অধ্যায়ের অতিরিক্ত অনুশীলনমূলক প্রশ্ন ও কাজসমূহের সমাধান:
১। তোমার ক্লাসের সকল শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে প্রতি বছর তোমার এলাকায় যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তার একটি তালিকা প্রণয়ন কর। এসব দুর্যোগে তোমার এলাকায় কী ধরনের ক্ষতি হয় এবং এসব দুর্যোগ মোকাবেলায় করণীয় কী? তা নিচের ছকে উপস্থাপন কর।
দলের নাম:
প্রাকৃতিক দুর্যোগ |
যে ধরনের
ক্ষতি
হয় |
দুর্যোগ মোকাবেলার
করণীয় |
|
|
|
নমুনা উত্তর : প্রতি বছর আমাদের এলাকায় যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তা উল্লেখ করে এসব দুর্যোগে যে ধরনের ক্ষতি হয় ও দুর্যোগ মোকাবেলায় করণীয় কী তা নিচের ছকে উপস্থাপন করা হলো --
দলের নাম :
প্রাকৃতিক দুর্যোগ |
যে ধরনের
ক্ষতি
হয় |
দুর্যোগ মোকাবেলায়
করণীয় |
১. বন্যা |
বন্যায় রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, ঘরবাড়ি তে তলিয়ে যায়, ফলে ঘরবাড়িসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। অনেক মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগেও অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়। |
১. বাঁধ নির্মাণ করা।
২. ঘরবাড়ির ভিটে উঁচু করা। ৩. নদী খননের ব্যবস্থা করা। |
২. নদীভাঙন |
নদীভাঙনের ফলে আমাদের এলাকায় হাজার একর আবাদি জমি, বসতবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা বিলীন হয়ে যায়। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ ভিটেমাটি ও কাজের সংস্থান হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়ে। |
১. নদীর পাড়ে গাছ লাগানো।
২. নদীর পাড় সংরক্ষণ করা। ৩. নিয়মিত নদী খননের ব্যবস্থা করা। |
৩. ঘূর্ণিঝড় |
আমাদের এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। গবাদি পশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেক বাড়িঘর ও বড় বড় বৃক্ষ যেমন— আমগাছ, নারিকেল গাছ, সুপারি, লিচু, কাঁঠালসহ প্রভৃতি গাছপালা ধ্বংস হয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। |
১ আবহাওয়া বিভাগ থেকে প্রচারিত পূর্বাভাস ও সতর্ক বার্তা মেনে চলা।
৩. গ্রিন হাউস গ্যাস উদগীরণ নিয়ন্ত্রণ করা। |
৪. খরা |
ধরায় আমাদের এলাকায় ব্যাপক পানির অভাব দেখা দেয়। পানির অভাবে সেচ কাজ ব্যাহত হয়। ফলে শত শত হেক্টর জমির আবাদি ফসল নষ্ট হয়ে যায় এবং খাদ্যাভাব দেখা দেয়। |
১. ভূগর্ভস্থ পানির স্তর পরীক্ষা করে মাটির নিচ থেকে পানি উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।
২. বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। ৩. সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনা ও পানি ব্যবহারে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। |
৫. কালবৈশাখী ঝড় |
কালবৈশাখী ঝড়ে এলাকার জানমালের প্রচুর
ক্ষতি হয়। ঘরবাড়ি উড়িয়ে নেয়, গাছপালা উপড়ে ফেলে, নৌ চলাচল বিঘ্ন ঘটায়। কালবৈশাখীর
কবলে পড়ে ভয়াবহ নৌ-দুর্ঘটনা ঘটে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। |
১. আবহাওয়া বিভাগ থেকে প্রচারিত
পূর্বাভাস ও সতর্কতা মেনে চলা।
২. বাড়ির আশেপাশে গাছ লাগানো। ৩. গ্রিন হাউস গ্যাস উদ্গীরণ নিয়ন্ত্রণ করা। |
২। বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যে তোমরা কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। দলবদ্ধ হতে পোস্টার কাগজে লিখে তা শ্রেণিতে উপস্থাপন কর।
বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে আমাদের করণীয়
|
নমুনা উত্তর: আমরা শ্রেণিকক্ষে সকল শিক্ষার্থীদের পরামর্শ গ্রহণ করে বন্যদুর্গত মানুষের সাহায্যে আমরা যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি তা নিচের ছকে উপস্থাপন করলাম -
বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে আমাদের করণীয় ১. যেই এলাকায় সাহায্য নেওয়া হবে
ভার জনসংখ্যার পরিমাণ, বন্যার অবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করি।
২. উক্ত এলাকার বন্যার অবস্থা পূর্বক সেখানে যাওয়ার দ্রুততম ও নিরাপদ যোগাযোগ মাধ্যম নির্বাচন করি। ৩. উক্ত এলাকায় কী ধরনের াহায্য প্রয়োজন তার একটি তালিকা তৈরি করি। যেমন- বিশুদ্ধ পানি বা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, শুকনো খাবার ইত্যাদি। ৪. উক্ত এলাকার প্রতি পরিবার অনুপাতে ত্রাণ সামগ্রীগুলো আগেই ভাগ করি। ৫. উক্ত এলাকায় যাওয়ার আগে স্থানীয় পুলিশ বা আনসার বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করি। |
৩।
সুনামি |
ঘূর্ণিঝড় |
জলোচ্ছ্বাস |
টর্নেডো |
বন্যা |
শ্রেণিকক্ষে তোমরা পাঁচটি দলে বিভক্ত হয়ে প্রতিটি দল উপরের যেকোনো একটি দুর্যোগ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য লিখবে। এরপর প্রতিটি দল তাদের লিখা দুর্যোগের তথ্য সবার সামনে উপস্থাপন করবে। সব দলের উপস্থাপন শেষ হলে শ্রেণির সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবে কোন দুর্যোগ বেশি ক্ষতি সাধন করতে পারে। কয়েক লাইনে এর কারণও লিখে ফেলো।
দলের নাম :
দুর্যোগ |
দুর্যোগ সম্পর্কে
তথ্য |
১. ২. ৩. ৪. ৫. |
|
নমুনা উত্তর : ৩
দলের নাম: ক
দুর্যোগ |
দুর্যোগ সম্পর্কে
তথ্য |
সুনামি |
গভীর সমুদ্র বা মহাসাগরের তলদেশে ভূমিকম্পের ফলে সেই এলাকার পানিতে প্রচণ্ড আলোড়নের সৃষ্টি হয়। আলোড়ন বা ঢেউ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে শত শত কিংবা কয়েক হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করে বিভিন্ন স্থানে সমুদ্রসৈকতে আছড়ে পড়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ঢেউ কয়েক মিটার উচ্চতার হয়ে থাকে এবং প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৭০০ কিলোমিটার গতিবেগে ধেয়ে আসতে পারে। এই প্রচণ্ড গতিবেগের কারণে | সুনামি সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে।
সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প হলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। এ ক্ষেত্রে রেডিও টেলিভিশন কিংবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে দ্রুত সতর্কতা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সুনামির সতর্কতা পাওয়া মাত্র যত দ্রুত সম্ভব সমুদ্র উপকূল থেকে দূরে সরে যাওয়া উচিত। এ ছাড়া যদি দূরে যাওয়ার সুযোগ না থাকে সে ক্ষেত্রে উঁচু স্থান বা ভবনে আশ্রয় নেওয়া উচিত।
|
দলের নাম: খ
দুর্যোগ |
দুর্যোগ সম্পর্কে
তথ্য |
ঘূর্ণিঝড় |
ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন বাংলাদেশের
প্রতি বছরই হয়ে থাকে। শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ঘূর্ণিঝড় হয় এবং
এলাকাভেদে সেগুলোর বিভিন্ন নাম রয়েছে। যেমন বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন ঘূর্ণিঝড়ের নাম
সাইক্লোন। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব দিকে | অবস্থিত আটলান্টিক মহাসাগরে
উৎপন্ন ঘূর্ণিঝড়কে হারিকেন বলা হয়। চীনের পূর্ব উপকূলে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে সেখানে
টাইফুন বলে।
ঘূর্ণিঝড় বায়ুমণ্ডলের চাপের তারতম্যের
কারণে সৃষ্টি হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় সাগরে এবং তা ক্রমাগত স্থলভাগের
দিকে এগিয়ে আসে।
ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বিস্তীর্ণ এলাকার
ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের | কারণে উপকূলীয় এলাকার ঘরবাড়ি
এবং কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোনো কোনো | স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বনের গাছপালা
ধ্বংস এবং পশু-পাখির মৃত্যুর ফলে বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয়
অঞ্চলে যত ঘূর্ণিঝড় হয়েছে তার মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ের ফলে স্মরণকালের সর্বোচ্চ
প্রাণহানি ঘটেছিল।
ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের
সময়কালে কিছু পূর্বপ্রস্তুতি রাখা প্রয়োজন। যেমন ঘূর্ণিঝড়ের সময় যেন দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে
সরে যাওয়া যায় সেই প্রস্তুতি রাখা। একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ের জন্য শুকনা
খাবার, বোতলে বিশুদ্ধ পানি, কিছু অর্থ, ওষুধ ইত্যাদি ঘরের মেঝে বা মাটির নিচে এমনভাবে
সংরক্ষণ করতে হবে যেন ঘূর্ণিঝড় শেষ হলে ত্রাণ না আসা পর্যন্ত সেগুলো দিয়ে কয়েক
দিন চলা যায়।
|
দলের নাম: গ
দুর্যোগ |
দুর্যোগ সম্পর্কে
তথ্য |
জলোচ্ছ্বাস |
উপকূলীয় এলাকার মানুষ জলোচ্ছ্বাসের
সঙ্গে পরিচিত। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া আরেকটি বিপর্যয় হচ্ছে জলোচ্ছ্বাস। জলোচ্ছ্বাসের
সময় সমুদ্রের স্বাভাবিক ঢেউয়ের তুলনায় অনেক উঁচু কষ্ট সৃষ্টি হয়। সে ক্ষেত্রে
পূর্ণিমা বা অমাবস্যা তিথি থাকলে জলোচ্ছ্বাস আরও উঁচু ঢেউ সৃষ্টি করে। আবার ঘূর্ণিঝড়ে
বাতাসের গতিবেগ যত বেশি হবে জলোচ্ছ্বাসের ঢেউয়ের উচ্চতা তত বেশি হবে।
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এ পর্যন্ত
কয়েকবার ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছে। এতে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি
ঘটেছে। গবাদিপশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বর বাংলাদেশের
উপকূলীয় অঞ্চলে ঘটে যাওয়া এমনি একটি ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় দশ লক্ষ মানুষের
মৃত্যু হয়।
|
দলের নাম: ঘ
দুর্যোগ |
দুর্যোগ সম্পর্কে
তথ্য |
টর্নেডো |
বায়ুমণ্ডলের অপর একটি ঝড় হচ্ছে
টর্নেডো। তবে সাইক্লোনের সঙ্গে টর্নেডোর পার্থক্য হচ্ছে এর সৃষ্টির স্থান এবং স্থায়িত্ব।
টর্নেডো সৃষ্টি হয় স্থলভাগের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বৃদ্ধি হওয়ার ফলে। এক্ষেত্রে উক্ত
স্থানের বায়ু গরম ও হালকা হয়ে উপরের | দিকে উঠে যায় এবং বায়ুচাপ অতিরিক্ত কমে
যায়। তখন তার আশপাশের এলাকা থেকে ঠাণ্ডা এবং ভারী বাতাস প্রচণ্ড বেগে নিম্নচাপের
দিকে ধেয়ে আসে। ফলে সেখানে ২৫০- ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় গতিবেগে বায়ু প্রবাহিত
হয়। টর্নেডোর স্থায়িত্ব মাত্র ২ থেকে ৩ মিনিট। কিন্তু বাতাসের প্রচন্ড গতিবেগের
কারণে টর্নেডো ক্ষুদ্র এলাকাতে ব্যাপক ধ্বংস বয়ে আনতে পারে।
টর্নেডো থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো
উপায় হচ্ছে, আশপাশে কোনো মজবুত ভবন থাকলে তাতে আশ্রয় নেওয়া। এ জন্য বিভিন্ন দেশে
মানুষ টর্নেডোপ্রবণ এলাকায় মাটির নিচে ঘর করে নিজস্ব টর্নেডো আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি
করে থাকে।
|
দলের নাম: ঙ
দুর্যোগ |
দুর্যোগ সম্পর্কে
তথ্য |
বন্যা |
বন্যা বাংলাদেশের একটি অতি পরিচিত
ঘটনা। বন্যা বলতে পানির অতিরিক্ত প্রবাহকে বোঝায়, যা সাধারণত শুষ্ক স্থানকে প্লাবিত
করে। বিভিন্ন কারণে বন্যা হতে পারে যার মধ্যে রয়েছে অতিবৃষ্টি, নদীর নাব্যতা হ্রাস,
জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি। বন্যা বিভিন্ন ধরনের রয়েছে। যেমন পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টিপাতের
ফলে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয় যা খুব দ্রুত কোনো স্থান প্লাবিত করতে পারে। এই ধরনের
বন্যা যেমন দ্রুত ঘটে, ঠিক তেমনই দ্রুত পানি নেমে যায়। আবার দেশের অন্যান্য এলাকায়
বন্যার পানি আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে, কয়েকদিন ধরে আটকে থাকে এবং ধীরে ধীরে পানি
কমতে থাকে। উপকূলীয় এলাকায় সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস এবং প্রবল বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতার
সৃষ্টি হয়ে বন্যা হতে পারে। শহরাঞ্চলে ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে বৃষ্টির সময় পানি বের
হয়ে যাওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সাঁতার না জানা
অনেকে বন্যার সময় পানিতে ডুবে মারা যায়। বন্যার পানিতে সহায়-সম্পত্তির প্রচুর
ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া খাদ্যের অভাব এবং বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব
দেখা দেয়। |
৪। শ্রেণিকক্ষে তোমরা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে এক দল বন্যার প্রাকৃতিক কারণ ও অপর দল মানবসৃষ্ট কারণ ছকে লিপিবদ্ধ কর। নমুনা উত্তর শ্রেণিকক্ষে আমরা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে 'ক দল' প্রাকৃতিক কারণ এবং ' দল মানবসৃষ্ট কারণ নিচের ছকে লিপিবদ্ধ করলাম-
দল - ক |
দল - খ |
প্রাকৃতিক কারণ |
মানবসৃষ্ট কারণ |
১. উজানে প্রচুর বৃষ্টিপাত। |
১. নদী অববাহিকায় ব্যাপক কর্তন 1 |
২. ভৌগোলিক অবস্থান। |
২. গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ফারাক্কা বাঁধ। |
৩. মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাব। |
৩. অন্যান্য নদীতে নির্মিত বাঁধের প্রভাব। |
৪. নদীর গভীরতা কম। |
৪. অপরিকল্পিত নগরায়ণ |
৫. হিমালয়ের বরফগলা পানি প্রবাহ। |
|
৬. বঙ্গোপসাগরের তীব্র জোয়ার-ভাটা।। |
|
৭. ভূমিকম্প। |
|
দাও তোমার মতামত
শিক্ষার্থীরা, তোমরা তোমাদের স্কুলে এবং স্কুলের বাইরে প্রতিদিন বিভিন্ন সময়ে তোমাদের সহপাঠীদের সাথে মিলে অনেক অনেক কাজ করো। যেমন খেলাধুলা, লেখাপড়া বা কোনো এডভেঞ্চার। কেমন হয় যদি তোমার সহপাঠীরা কে কেমন করে বিভিন্ন কাজে অংশ নেয় তার উপর তোমার মতামত নেওয়া হয়? মতামত কীভাবে দেবে তার সুত্রটি নিচের দুটি ছকে (১.১ ও ১.২) দিয়ে দেওয়া হলো। এটি ব্যবহার করে তুমি ছক-৩ এ মতামত দেবে। ছক-২ কোথায় গেল এটা এখন তোমাদের জন্য রহস্য হয়ে থাকুক। আরেকটু বড় হতে হতে তোমরা নিজেরাই আবিষ্কার করে ফেলবে।
ছক -১: দলে বা জোড়ায় কাজে তোমার সহপাঠী
১.১: দলে বা জোড়ায় কাজে তোমার সহপাঠী যা করে
|
ক |
খ |
গ |
ঘ |
ঙ |
সে যা করে বা করেছে |
শিক্ষক যেভাবে বলেছেন সেভাবে কাজ করেছে। |
শিক্ষক যেভাবে বলেছেন সেভাবে কাজ করেছে। এবং নিজে যা মনে করে তা বলেছে। |
শিক্ষক যেভাবে বলেছেন সেভাবে কাজ করেছে। এবং নিজে যা মনে করে তা বলেছে। এবং আমরা যা বলেছি মনোযোগ দিয়ে শুনেছে। |
শিক্ষক যেভাবে বলেছেন সেভাবে কাজ করেছে। এবং নিজে যা
মনে করে তা বলেছে। এবং আমরা যা বলেছি মনোযোগ দিয়ে শুনেছে। এবং প্রশ্ন করেছে। |
শিক্ষক যেভাবে বলেছেন সেভাবে কাজ করেছে। এবং নিজে যা
মনে করে তা বলেছে। এবং আমরা যা বলেছি মনোযোগ দিয়ে শুনেছে। এবং প্রশ্ন করেছে। এবং
আমার বা আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। |
১.২ দলে বা জোড়ায় তোমার সহপাঠার কাজ ভাগাভাগ
|
ক |
খ |
গ |
ঘ |
ঙ |
সে যা করে বা করেছে |
নিজের অংশটুকু ঠিকভাবে করেছে। |
নিজের অংশটুকু ঠিকভাবে করেছে। এবং আমার ও আমাদের সবার
সাথে ভাগভাগি করে কাজ করেছে। |
নিজের অংশটুকু ঠিকভাবে করেছে। এবং আমার ও আমাদের সবার
সাথে ভাগভাগি করে কাজ করেছে এবং আমি বা আমরা ভুল ধরিয়ে দিলে স্বীকার করেছে। |
নিজের অংশটুকু ঠিকভাবে করেছে। এবং আমার ও আমাদের সবার
সাথে ভাগভাগি করে কাজ করেছে এবং আমি বা আমরা ভুল ধরিয়ে দিলে স্বীকার করেছে। এবং
অন্যে ভুল করলে সেটা ভালোভাবে বলেছে। |
নিজের অংশটুকু ঠিকভাবে করেছে। এবং আমার ও আমাদের সবার
সাথে ভাগভাগি করে কাজ করেছে এবং আমি বা আমরা ভুল ধরিয়ে দিলে স্বীকার করেছে। এবং
অন্যে ভুল করলে সেটা ভালোভাবে বলেছে এবং নিজের বা অন্যের কোনো কিছু কেন ভুল সেটা
ভালোমতো বলেছে। |
ছক-৩: পুরণ করা খুব সোজা।
প্রথমে যার ব্যাপারে মতামত দিতে চাও তার রোল নম্বর লিখ। তারপর যে তারিখের কাজের জন্য মতামত দিতে চাও তা লিখ। এবার তার কাজগুলো দেখো বা মনে করো। উপরে ১.১ ছক পড়ে দেখো, জোড়ার বা দলের কাজে কার ভূমিকা কেমন ছিল তা বোঝার জন্য কয়েকটি বিকল্প 'ক', 'খ', 'গ', 'ঘ' এবং 'ড' দেওয়া আছে। তোমার সহপাঠীর ভূমিকা এই ক্ষেত্রে কেমন ছিল তা একটু চিন্তা করো, সে অনুযায়ী পাঁচটি বিকল্পের মধ্যে কোনটির সাথে তার কাজের ধরন বেশি মিলে যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নাও। ছক-৩ এর ১.১ কলামে সহপাঠীর রোল নম্বর বরাবর তোমার মতামত, অর্থাৎ 'ক', 'খ', 'গ', 'ঘ', 'ও' এর মধ্যে যেটা সঠিক মনে হয় সেটি বসাও। একইভাবে দলে বা জোড়ায় কাজে বাকিদের সাথে কেমন কাজ করেছে সেই ব্যাপারে ১.২ ছক থেকে তোমার বিবেচনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নাও এবং ১.২ কলামে রোল নম্বর বরাবর বসাও। ঠিকমতো পারবে তো? ছক-৩ : বিভিন্ন কাজে আমার সহপাঠীর ভূমিকা সম্পর্কে আমার মতামত।
নমুনা উত্তর :
সহপাঠীর রোল
নম্বর |
তারিখ |
হুক-১.১ ও ১.২ দেখি এবং সেই অনুযায়ী আমার মতামত (ক, খ, গ, ঘ, বা ঙ) দিলাম |
|
১.১ |
১.২ |
||
০৩ |
০১/০৩/২০..... |
গ |
খ |
০৫ |
০৫/০৩/২০..... |
ঘ |
ক |
০৬ |
০৭/০৩/২০..... |
ক |
গ |
০৮ |
০৮/০৩/২০..... |
গ |
ঙ |
১০ |
১০/০৩/২০..... |
খ |
ক |
১১ |
১২/০৩/২০..... |
ঙ |
খ |
১৩ |
১৪/০৩/২০..... |
ঘ |
গ |
১৪ |
১৫/০৩/২০..... |
খ |
ঘ |
১৫ |
১৭/০৩/২০..... |
ঙ |
ক |
১৭ |
১৮/০৩/২০..... |
গ |
ঘ |