সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই অধ্যায় টেকসই উন্নয়ন ও আমাদের ভূমিকা এর সমাধান-7th Class History and Social Science Book Chapter Solutions to Sustainable Development and Our Role

Mohammad Rashed
0

টেকসই উন্নয়ন ও আমাদের ভূমিকা

সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই অধ্যায় টেকসই উন্নয়ন ও আমাদের ভূমিকা এর সমাধান-

■ চলো আমরাও ওদের মতো করে প্রাচীন সভ্যতার মানুষের প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার খুঁজে বের করি এবং ওপরের মানচিত্রে বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে তা উপস্থাপন করি।

সমাধান নির্দেশিকা:

■ চলো তাহলে কাজটি করে ফেলি-

সমাধান নির্দেশিকা :

সময়

প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার

সকাল

পানি, খাট, চেয়ার, টেবিল, পাটি।

দুপুর

বেঞ্চ, গ্যাস, মাছ, সবজি, লবণ।

রাত

বিদ্যুৎ, কেরোসিন, খাট, তুলার বালিশ।

চলো আমরাও দলে ভাগ হয়ে সময়ের সাথে মানুষের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের ধরন এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর তার প্রভাব খুঁজে বের করি।

সমাধান নির্দেশিকা :

মানুষের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের ধরন

প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর প্রভাব

গাছপালা ব্যবহার

বৃক্ষ নিধনের ফলে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জ্বালানি তেলের ব্যবহার

পরিবেশ দুষিত হচ্ছে।

মাটি কেটে রাস্তাঘাট তৈরি

ভূমিক্ষয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে।

জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার

পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

বনাঞ্চলে বসতি নির্মাণ

প্রকৃতির বাস্তুসংস্থান নষ্ট হচ্ছে।

পানির যথেচ্ছা ব্যবহার

পানি দূষিত হচ্ছে।

■ ১৩৯ পৃষ্ঠার পৃথিবীর মানচিত্র দেখে পৃথিবীর মহাদেশগুলোর মধ্যে কোন কোন দেশে সুপেয় পানির প্রাচুর্য আছে এবং কোথায় কোথায় স্বল্পতা আছে তা খুঁজে বের করব এবং পরে নিচের ছকে প্রো সাহায্যে মহাদেশ অনুযায়ী দেশগুলোর নাম লিখে ছকটি পুরণ করব।

সমাধান নির্দেশিকা:

চরম পানি সংকট পূর্ণ দেশ

সংকট পূর্ণ দেশ

পানির সমস্যা হতে যাচ্ছে যে যে দেশে

পর্যাপ্ত পানি আছে।

প্রচুর পানি আছে

উদ্বৃত্ত পানি আছে

পাকিস্তান

বাংলাদেশ

চীন

জাপান

কাজাখস্তান

রাশিয়া

উজবেকিস্তান

তুর্কমেনিস্তান

ভারত

ডিত্তর কোরিয়া

মঙ্গোলিয়া

ফিনল্যান্ড

সৌদি আরব

ইরাক

আফগানিস্তান

থাইল্যান্ড

নেপাল

সুইডেন

সংযুক্ত আরব আমিরাত

আজারবাইজান

ইরান

লাওস

ভুটান

নরওয়ে

ওমান

হাঙ্গেরি

ইউক্রেন

ভিয়েতনাম

কম্পোডিয়া

মিয়ানমার

ইয়েমেন

বেলজিয়াম

রোমানিয়া

ফিলিপাইন

ইন্দোনেশিয়া

মালয়েশিয়া

সিরিয়া

বুর্কিনাফাসো

পোল্যান্ড

শ্রীলংকা

আইভরিকোস্ট

পাপুয়া নিউগিনি

জর্ডান

দক্ষিণ আফ্রিকা

জার্মানি

তুর্কিয়ে (তুরস্ক)

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র

অস্ট্রেলিয়া

ফিলিস্তিন

 

চেক প্রজাতন্ত্র

বুলগেরিয়া

মোজাম্বিক

মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন

মিশর

 

মালি

সার্বিয়া

আমেরিকা

ক্যামেরুন

লিবিয়া

 

সেনেগাল

মেসিডোনিয়া

ইকুয়েডর

গ্যাবন

আলজেরিয়া

 

ঘানা

গ্রিস

প্যারাগুয়ে

কঙ্গো প্রজাতন্ত্র

তিউনিশিয়া

 

কেনিয়া

ইতালি

আর্জেন্টিনা

এ্যাজোলা

মরক্কো

 

 

ফ্রান্স

 

জাম্বিয়া

পশ্চিম সাহারা

 

 

যুক্তরাজ্য

 

মাদাগাস্কার

মৌরিতানিয়া

 

 

স্পেন

 

কানাডা

নাইজার

 

 

পর্তুগাল

 

গুয়েতেমালা

নামিবিয়া

 

 

ইথিওপিয়া

 

হন্ডুরাস

সোমালিয়া

 

 

সুদান

 

নিকারাগুয়া

উগান্ডা

 

 

চাপ

 

কোস্টারিকা

জিবুতি

 

 

নাইজেরিয়া

 

পানামা

 

 

 

ভানজেনিয়া

 

কলম্বো

 

 

 

জিম্বাবুয়ে

 

ভ্যানিজুয়েলা

 

 

 

বতসোয়ানা

 

গায়ানা

 

 

 

মেক্সিকো

 

সুরিনাম

 

 

 

 

 

ব্রাজিল

 

 

 

 

 

পেরু

 

 

 

 

 

বলিভিয়া

 

 

 

 

 

উরুগুয়ে

 

 

 

 

 

চিলি

■ চলো এখন আমরা আমাদের বাংলাদেশ নামক বদ্বীপের একটি মানচিত্র দেখে এই বদ্বীপে প্রবেশ করা নদীগুলো খুঁজে বের করি এবং এই নদীগুলো কোন কোন দেশের মধ্য দিয়ে এসেছে তা খুঁজে বের করে লিখে ফেলি।

সমাধান নির্দেশিকা :

নদীর নাম

যে যে দেশ হয়ে বাংলাদেশে এসেছে

পদ্মা

নেপাল, ভারত।

ব্রহ্মপুত্র

ভুটান, ভারত।

নাফ

মিয়ানমার।

শঙ্গ/সাঙ্গু

মিয়ানমার।

মেঘনা

ভারত।

তিতাস

ভারত।

গোমতি

ভারত।

■ চলো তাহলে দেখি কেমন হয়েছে নতুন সমুদ্রসীমাসহ কেমন হবে বাংলাদেশের মানচিত্র এবং ছকে আমরা আমাদের সমুদ্রের কোন কোন অঞ্চলে কী কী অধিকার পেলাম তার একটি তালিকা তৈরি করি।

সমাধান নির্দেশিকা :

অঞ্চল

কী কী অধিকার পেলাম

বেজলাইন থেকে দক্ষিণে ১২ নটিক্যাল মাইল সন্নিহিত অঞ্চল।

আর্থিক, অভিবাসন, দূষণ, শুষ্ক কর সংক্রান্ত বিধিবিধান প্রয়োগের অধিকার পেলাম।

বেজলাইন থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত- একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল।

সকল প্রকার প্রাণিজ খনিজ সম্পদ আহরণ করার অধিকার পেলাম।

বেজলাইন থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপান।

খনিজ সম্পদ আহরণের সার্বভৌম অধিকার লাভ।

লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র অঞ্চল।

পর্যটন, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ, প্রাকৃতিক সম্পদের খোঁজ, বাণিজ্য এবং জ্বালানি সংগ্রহের অধিকার লাভ।

■ চলো আমরাও আমাদের এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানি রক্ষায় কী কী কর্মসূচি নেওয়া যেতে পারে তা বন্ধুরা মিলে ঠিক করি এবং বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ক্লাবের সহযোগিতায় তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি। 

সমাধান নির্দেশিকা :

ভূগর্ভস্থ পানি রক্ষায় করণীয় কর্মসূচি :

১. যত্রতত্র টিউবওয়েল ব্যবহার বন্ধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ।
২. প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া সব ধরনের সেচ প্রকল্প নিষিদ্ধ করা।
৩. পতিত জলাশয়, নদী, খাল, পুকুর থেকে সেচের পানি সংগ্রহের জন্য কৃষকদের অবহিত করা।
৪. বৃষ্টির সময় খাবার পানির জন্য বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা। এক্ষেত্রে বিভিন্ন এনজিও এর সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
৫. সর্বত্র পানির অপচয় রোধকরে সচেতনতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ (পথ নাটক, মানববন্ধন, পোস্টার ছাপানো ইত্যাদি) গ্রহণ।
৬. অবৈধ পানির ব্যাবসা নিষিদ্ধকরণ।
৭. পুকুর, নদী বা খালের পানি দূষণ রোধকল্পে কর্মসূচি গ্রহণ।
৮. কৃষিক্ষেত্রে অতিরিক্ত কীটনাশক ও সার ব্যবহার না করার জন্য কৃষকদের সচেতন করা। কারণ তা  ভূগর্ভস্থ পানিকে দূষিত করে।

■ পৃথিবীর মানচিত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য পূরণের ছক

সমাধান নির্দেশিকা :

খনিজ সম্পদের নাম

বিদ্যমান মহাদেশের নাম

কয়লা

উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, ওশেনিয়া

প্রাকৃতিক গ্যাস

উত্তর আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ শেনিয়া।

খনিজ তেল

উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ, এশিয়া, ওশেনিয়া

ইউরেনিয়াম

উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, ওশেনিয়া

বক্সাইট

দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া, ওশেনিয়া।

ভাষা

উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, ওশেনিয়া।

স্বর্ণ

উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া, ওশেনিয়া।

লোহার আকরিক

উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, ওশেনিয়া।

রুপা

উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, ওশেনিয়া

■ বাংলাদেশের মানচিত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য পূরণের ছক

সমাধান নির্দেশিকা :

খনিজ সম্পদের নাম

বিদ্যমান স্থানের নাম

প্রাকৃতিক গ্যাস

সিলেট, ছাতক, জালালাবাদ, কৈলাসটিলা, বিয়ানীবাজার, ফেরগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, বিবিয়ানা, বেলাবো, ভিভাস, কামতা, বাখরাবাদ, বেগমগঞ্জ, ফেনী, সেমুতাং, শাহবাজপুর, সাঙ্গু, কুতুবদিয়া।

খনিজ তেল

হরিপুর।

কয়লা

বড়পুকুরিয়া, খালাশপীর, জামালগঞ্জ, টাকেরঘাট।

চুনাপাথর

জামালগঞ্জ, টাকেরঘাট, বাগালীবাজার, ভাঙ্গেরঘাট, জাফলং, সীতাকুণ্ড, সেন্টমার্টিন দ্বীপ।

কঠিন শিলা

তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়।

ভারী মানিক

টেকনাফ, কক্সবাজার, মহেশখালী, নিঝুমদ্বীপ, কুয়াকাটা।

চীনামাটি

মধ্যপাড়া, বড়পুকুরিয়া, পত্নীতলা, ভুরুঙ্গা, বিজয়পুর

কাঁচবালি

মাপাড়া, বালিজুরী, কুলাউড়া, চৌদ্দগ্রাম।

প্রথমে দলে ভাগ হয়ে প্রত্যেক দল একটি করে খনিজ সম্পদ বেছে নিন। তারপর ওরা যা যা জানতে চায় সেসব বিষয়ের ওপর প্রশ্ন তৈরি করল।

সমাধান নির্দেশিকা :

প্রশ্ন:

. খনি থেকে সম্পদটি কীভাবে উত্তোলন করা হয়?
. খনি থেকে উত্তোলনের সময় কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে কি না?
. সম্পদটি পরিবেশের উপর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে কি?
. সম্পদটি পরিশোধন করা হয় কীভাবে?
. খনিতে সম্পদটি কী পরিমাণ মজুদ আছে?
. সম্পদটি প্রধানত কী কী কাজে ব্যবহার করা হয়।

■ পরিবারে সম্পদের টেকসই ব্যবহারমূলক কাজ

সমাধান নির্দেশিকা :

. ব্যবহারের সময় ছাড়া পানির কল বন্ধ রাখা।
. ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করা।
. বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা।
. প্রয়োজন ছাড়া ফ্যান, লাইট জ্বালিয়ে না রাখা।
. অযথা গ্যাসের চুলা, ফ্যান, লাইট জ্বালিয়ে না রাখা।
. শীতকালে এসি বন্ধ রাখা।
. বেশি প্রয়োজন না হলে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে বিরত থাকা।
. অতিরিক্ত সার কীটনাশক কিংবা কেমিক্যাল ব্যবহার না করা।

■ বিদ্যালয়ে সম্পদের টেকসই ব্যবহারমূলক কাজ

সমাধান নির্দেশিকা :

১. বিদ্যালয়ে যেখানে বর্জ্য উৎপন্ন হয় তা পর্যবে এবং যেখানে পুনর্ব্যবহার হতে পারে তা নোট করা।
২. শ্রেণিকক্ষে এবং বিদ্যালয়ের অন্যান্য এলাকায় আলো বন্ধ করে রাখা যখন সেগুলি ব্যবহার করা হয় না।
৩. শক্তি সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার না করার সময় কম্পিউটারগুলোকে স্লিপ মোডে রাখতে সবাইকে অনুরোধ করা।
৪. শীতের সময় বা বৃষ্টির দিনে ক্লাসের ফ্যানগুলো বন্ধ রাখতে সবাইকে উৎসাহিত করা।
৫. ক্লাশ শেষ করে মার্কার, বই যথাস্থানে রাখা।
৬. বিদ্যালয়ের পাশে পরিত্যক্ত পুকুরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাছ চাষ করার ব্যবস্থা করা।

■ সমাজে সম্পদের টেকসই ব্যবহারমূলক কাজ

সমাধান নির্দেশিকা :

১. বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে পচনশীল ও অপচনশীল এই দুই ধরনের বর্জ্য আলাদা করে সংগ্রহ করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভায় অনুরোধ পত্র প্রেরণ।
২. এলাকায় পুকুর, খাল বা অন্যান্য পানির উৎস যা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে তোলার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভায় অনুরোধ পত্র প্রেরণ।
৩. এলাকায় পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ সব ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে সচেতনতামূলক পোস্টার বিলি করা।
৪. পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে এলাকার আশপাশের ইটভাটা ও কলকারখানা লোকালয় থেকে দূরে স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
৫. মানব বন্ধন কিংবা ধৰ্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে শক্তি সম্পদ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য বক্তব্য প্রদান করা।


Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!