সপ্তম শ্রেণির বাংলা বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ১ম কর্মদিবস এর সমাধান - Solution of Class VII Bengali Annual Summative Assessment 1st Working Day

Mohammed Ahsan
0

সপ্তম শ্রেণি (বাংলা)

সপ্তম শ্রেণির বাংলা বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ১ম  কর্মদিবস এর সমাধান - Solution of Class VII Bengali Annual Summative Assessment 1st Working Day

বিভিন্ন দেশের বাঘবিষয়ক তথ্য।

ছকে ৮টি দেশের ২০১০ এবং ২০১৫ সালের বাঘের পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে সবচেয়ে বেশি বাঘ ছিল ভারতে এবং সংখ্যা ১৭০৬। বাঘের সংখ্যা বিবেচনায় ২০১০ সালে ৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। ২০১০ সালে সবচেয়ে কম বাঘ ছিল ভিয়েতনামে যার সংখ্যা মাত্র ২০। ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি বাঘ ছিল ভারতে এবং সংখ্যা ২২২৬। বাঘের সংখ্যা বিবেচনায় ২০১৫ সালে দেশগুলোর মধ্যে ২য় অবস্থানে ছিল নেপাল। ২০১০ সালে কম্বোডিয়া একেবারেই বাঘশূন্য হয়ে যায়। ৮টি দেশের মধ্যে মিয়ানমার হলো একামাত্র দেশ যেখানে দুটি জরিপেই বাঘের সংখ্যা অপরিবর্তিত। ৫ বছর ব্যবধানে করা ২য় জরিপে শুধু ৩টি দেশে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেগুলো হলো: ভুটান, ভারত ও নেপাল। ৫ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ৪ ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে।

কোভিড্ কালীন ও কোভিড পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাসের তথ্য

ছকে ৮ জন শিক্ষার্থীর কোভিড কালীন ও কোভিড পরবর্তী সময়ের পাঠাভ্যাসের পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। কোভিড কালীন সময়ে সবচেয়ে বেশি বই পড়েছে মিনু যার সংখ্যা ১২২ এবং সবচেয়ে কম বই পড়েছে পূরবী সরকার যার সংখ্যা ৭৫। কোভিড কালীন সময়ে বই পড়ার দিক থেকে ২য় অবস্থানে রয়েছে আজমল আহমেদ, ৩য় স্থানে অবন্তি রচনা, ৪র্থ স্থানে দিতি রানী দে, ৫ম স্থানে নাজমিন, ৬ষ্ঠ স্থানে প্রবাল কুমার, ৭ম স্থানে মাহমুদ এবং সবশেষে রয়েছে পূরবী সরকার। অন্যদিকে কোভিড পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বেশি বই পড়েছে মিনু যার সংখ্যা ৯৬ এবং সবচেয়ে কম বই পড়েছে পূরবী সরকার যার সংখ্যা ৫২। উল্লেখযোগ্য বিষয় মিনু ও পূরবী সরকার কোভিড কালীন ও কোভিড পরবর্তী উভয় সময়ে যথাক্রমে সবচেয়ে বেশি ও সবচেয়ে কম বই পাঠ করেছে। কোভিড পরবর্তী সময়ে বই পড়ার দিক থেকে ২য় অবস্থানে রয়েছে আজমল আহমেদ, ৩য় স্থানে অবন্তি রচনা, ৪র্থ স্থানে দিতি রানী দে, ৫ম স্থানে নাজমিন, ৬ষ্ঠ স্থানে প্রবাল কুমার, ৭ম স্থানে মাহমুদ এবং সবশেষে রয়েছে পূরবী সরকার।


মনে পড়া

 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৯ আশ্বিন, ১৩২৮ (শিশু ভোলানাথ কাব্যগ্রন্থ)

মাকে আমার পড়ে না মনে।

 শুধু কখন খেলতে গিয়ে 

হঠাৎ অকারণে 

একটা কী সুর গুনগুনিয়ে 

কানে আমার বাজে, 

মায়ের কথা মিলায় যেন 

আমার খেলার মাঝে।

মা বুঝি গান গাইত, 

আমার দোলনা ঠেলে ঠেলে; 

মা গিয়েছে, যেতে যেতে

গানটি গেছে ফেলে। 

মাকে আমার পড়ে না মনে।

শুধু যখন আশ্বিনেতে 

ভোরে শিউলিবনে 

শিশির-ভেজা হাওয়া বেয়ে

 ফুলের গন্ধ আসে, 

তখন কেন মায়ের কথা 

আমার মনে ভাসে? 

কবে বুঝি আনত মা সেই

ফুলের সাজি বয়ে, 

পুজোর গন্ধ আসে যে তাই 

মায়ের গন্ধ হয়ে। 

 মাকে আমার পড়ে না মনে।

শুধু যখন বসি গিয়ে শোবার ঘরের কোণে;

কবির মায়ের সাথে কবির স্মৃতির সাথে আমার মায়ের সাথে আমার স্মৃতি

এখানে কবি অশীতিপর বৃদ্ধ শিশু, যাঁর সায়াহ্নে এসে মাকে বড্ড মনে পড়ছে। অন্যদিকে আমি ১২ বছরের ছেলে/মেয়ে। কাছ থেকে মায়ের ভালোবাসা, দুষ্ট-মিষ্টি মুহূর্ত অনুভব করতে পারি। কবি মায়ের কোলের গন্ধ খুঁজছেন ছেলেবেলায় স্মৃতি হাতরে। তাঁর মনে পড়ে মা গান গাইয়ে দোলনা ঠেলতো। মাকে হারিয়ে কবি প্রকৃতিতে মায়ের অস্তিত্ব অনুভব করে। আমিও মায়ের ঘুম-পাড়ানি গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ি। তাছাড়া কয়েকদিনের জন্য যখন মাকে দেখতে পাইনা তখন মায়ের অভাব অনুভব করি।

এ কি অপরুপ রুপে মা তোমায় - ( নজরুল গীতি )

কাজী নজরুল ইসলাম

একি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী জননী।

 ফুলে ও ফসলে কাদা মাটি জলে ঝলমল করে লাবনী।

 রৌদ্রতপ্ত বৈশাখে তুমি চাতকের সাথে চাহ জল, 

আম-কাঁঠালের মধুর গন্ধে জৈষ্ঠে মাতাও তরুতল। 

ঝঞ্ঝার সাথে প্রান্তরে মাঠে কভু খেল ল'য়ে অশনি ৷

কেতকী কদম যূথিকা কুসুমে বর্ষায় গাঁথ মালিকা, 

পথে অবিরল ছিটাইয়া জল খেল চঞ্চলা বালিকা।

তড়াগে পুকুরে থই থই করে শ্যামল শোভার নবনী। 

শাপলা শালুকে সাজাইয়া সাজি শরতে শিশিরে নাহিয়া, 

শিউলি - ছোপানো শাড়ি প'রে ফের আগমনী - গীতি গাহিয়া।

অঘ্রাণে মা গো আমন ধানের সুঘ্রাণে ভরে অবনী। 

শীতের শূন্য মাঠে তুমি ফের উদাসী বাউল সাথে মা, 

ভাটিয়ালি গাও মাঝিদের সাথে (গো), কীর্তন শোন রাতে মা, 

ফাল্গুনে রাঙা ফুলের আবীরে রাঙাও নিখিল ধরণী।

'একি অপরূপ রূপে মা তোমায়' কবিতার এলার বৈশিষ্ট্যের সাথে নিজ এলাকার বৈশিষ্ট্যের মিল

'একি অপরূপ রূপে মা তোমায়' কবিতাটিতে কবি বিভিন্ন উপমা সাজিয়ে প্রকৃতির প্রশংসা করেছে। প্রকৃতির ফুল, ফসল, মাটি বিশেষ করে জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রশংসা করেছে। আমাদের এলাকার প্রকৃতির প্রত্যেকটি উপাদান তুলিতে আঁকা ছবির মতো সুন্দর। অগ্রায়ন মাসে আমন ধানের সুঘ্রাণ করিব এলাকা  ভরে উঠে। আমাদের গ্রামের প্রত্যেকটি পরিবার ঘরে নতুন ধান ওঠার আনন্দে ভাসতে থাকে। কৃষকেরা মনের আনন্দে গান গাই আর ধান ঘরে তুলার আনন্দ উপভোগ করে। তখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ করা হয়। কবিতায় শীতের সময় গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষদের গান ও কীর্তনের কথা তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের গ্রামেও শীতের সময় গানের আসর ভাসানো হয়, পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। মাঝিদের কন্ঠে তখন ভাটিয়ালী গানের হিরিক পড়ে ।

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!