সপ্তম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ১ম কর্মদিবস এর সমাধান - Solution of Class 7 Health Protection Annual Summative Assessment 1st Working Day

Mohammed Ahsan
0

সপ্তম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন  ১ম  কর্মদিবস এর সমাধান - Solution of Class 7 Health Protection Annual Summative Assessment 1st Working Day


ধাপ-১: (প্রথম কর্মদিবস: ৯০ মিনিট)

কিছু প্রচলিত আউটডোর খেলা

বউচি
বাংলাদেশের একটি গ্রামীণ ও ঐতিহ্যবাহী খেলা বউচি। এই খেলা বাড়ির উঠানে বা মাঠে খেলা যায়। এই খেলায় দুটি পক্ষ অংশগ্রহণ করে থাকে। প্রত্যেক দলে ৫ থেকে ১০ জন করে খেলোয়াড় থাকে।
২০-২৫ ফুট দূরত্বে মাটিতে দাগ কেটে দুটি ঘর তৈরি করতে হয়। দুটি ঘরের মধ্যে বড়টিতে এক পক্ষের বউ বাদে সব খেলোয়াড় থাকে। আর ছোট ঘর বা বউঘর বা বুড়ি ঘরে দাঁড়াবে বউ। কোন দলটি আগে ঘরে থেকে খেলবে টসের মাধ্যমে তা নির্ধারিত হয়। প্রতিপক্ষের সব খেলোয়াড় উক্ত দুটি ঘর বাদ দিয়ে পুরো মাঠের যে কোন যায়গায় অবস্থান করতে পারে।
খেলার বিবরণ:
• বউঘর থেকে বউকে ছুটে আসতে হবে বড় ঘরটিতে। বড় ঘরটিতে যারা থাকে তারা দম নিয়ে বিপক্ষ দলের খেলায়াড়দের তাড়া করে। দম নিয়ে যাওয়া খেলোয়াড় যদি বিপক্ষ দলের কাউকে ছুঁয়ে দেয় তবে সে  খেলোয়াড় মারা পড়ে। তবে দম ভেঙে গেলে বউ এর ঘর বা নিজেদের ঘরে পৌঁছানোর আগে  যদি প্রতিপক্ষ দলের কেউ ছুঁয়ে দেয় তাহলে বউয়ের দলের ঐ খেলোয়াড় বাদ পড়ে যায়। বউ বাইরে এলে যদি বিপক্ষ দলের কেউ তাকে ছুঁয়ে দেয় তাহলে ওই পক্ষের খেলা শেষ হয়ে যাবে।
• পরবর্তীতে বিপক্ষ দল খেলার সুযোগ পায়।
• আর বউ যদি বিনা ছোঁয়ায় বড় ঘরে চলে আসতে পারে তাহলে সে দল জয়ী হয়।

গোল্লাছুট

বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। এই খেলা স্কুলের মাঠ অথবা খোলা জায়গায় হয়ে থাকে। মাটিতে এক জায়গায় একটি লাঠি পুঁতে বৃত্ত তৈরি করে ঘুরতে হয় বলে একে 'গোল্লা' এবং আঞ্চলিক ভাষায় ছুট হলো দৌড়ানো। এভাবেই খেলার নাম হয়েছে গোল্লাছুট। দুদলেই সমান সংখ্যক খেলোয়াড় থাকে (৫ অথবা ৭ জন)।
খেলার বিবরণ:
• খেলার শুরুতে একদলের দলপতি মাটিতে পুঁতে রাখা লাঠি এক হাতে ধরে অপর হাতে তার দলের অন্য খেলোয়াড়ের হাত ধরে থাকে। এভাবে তারা পরস্পরের হাত স্পর্শ করে কেন্দ্রের সাথে সংযুক্ত থেকে ঘুরতে থাকে। তাদের লক্ষ্য হলো বৃত্তের বাইরে যে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তু (যেমন কাঠি বা গাছ) থাকে তা দৌড়ে এসে স্পর্শ করা।
• অপরদিকে দৌড়ে কাঠি স্পর্শ করার আগেই বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রা যদি ওই দলের কোনো খেলোয়াড়কে স্পর্শ করতে পারে তাহলে সে এই দানের (পর্ব) খেলা থেকে বাদ যাবে। কোনো খেলোয়াড়ই লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারলে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়রা দান পায়।

দাঁড়িয়াবান্ধা

বাংলাদেশের গ্রামীণ খেলাধুলার মধ্যে একটি অতিপরিচিত খেলা।
এ খেলার মাঠটি ৫০ ফুট লম্বা ও ২০ ফুট প্রস্থ হয়। মাঝখানে সমান্তরাল ৫০ ফুট লম্বা ও ১ ফুট চওড়া একটি লাইন থাকবে। ১ ফুট পরপর আড়াআড়ি ৪টি লাইনে সমগ্র কোর্টটি ১০ ইঞ্চি/১০টি খোপে ভাগ করা থাকবে। প্রত্যেক দলে ৫/৬ থেকে শুরু করে ৮/৯ জন পর্যন্ত খেলোয়াড় থাকে। খেলায় একজন রেফারি থাকে।
খেলার সময়:
২৫ মিনিট খেলা, ৫ মিনিট বিশ্রাম, পুনরায় ২৫ মিনিট খেলা-এই নিয়মে খেলা চলে।
খেলার বিবরণ:
• প্রথমে মাটিতে দাগ কেটে তৈরি বর্গাকার একটি ঘরে সামনে-পেছনে সমান দূরত্বে দুটি করে দাগ কাটতে হয়। এ দুই দাগের মাঝে এক হাত পরিমাণ জায়গা রাখতে হয়। এগুলোকে বলে আড়া কোর্ট।
• দুটি আড়া কোর্ট জোড়া দিয়ে মাঝখানে একটি কোর্ট তৈরি করা হয়। মাঝখানের এই কোর্টকে বলে 'খাড়া কোর্ট'।
• প্রতিটি আড়া কোর্টে একজন করে খেলোয়াড় দাঁড়ায়। এখানেই দাঁড়িয়ে অন্য দলের খেলোয়াড়দের ঘরের ভেতর ঢুকতে বাধা দেয়। কোর্টের ওপর বা ঘরের ভেতর অন্য দলের খেলোয়াড়কে ছুঁতে পারলে সে মারা পড়ে। সামনের খেলোয়াড় তার পেছনের খাড়া কোর্ট ব্যবহার করতে পারে। যে দল খেলার সুযোগ পায়, তারা সামনের ঘর দিয়ে ঢুকে পেছনের ঘর দিয়ে বেরোতে থাকে।
• সব ঘর পেরোনোর পর আবার পেছনের ঘর থেকে সামনে আসে। কোর্টে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য দলের খেলোয়াড়দের ছোঁয়া বাঁচিয়ে সবাই ফিরে আসতে পারলে গেম জয় হয়।

দাবা
দাবা চমকপ্রদ এক বুদ্ধির খেলা।
দাবা বোর্ড ৬৪টি সমান আকৃতির বর্গক্ষেত্র নিয়ে গঠিত। খেলায় দুই সেট ঘুঁটি থাকে। এক সেটে ১৬টি সাদা এবং আরেক সেটে ১৬টি কালো রঙেরঘুঁটি থাকে। প্রতি সেট ঘুঁটির মধ্যে ১টি রাজা, ১টি মন্ত্রী, ২টি নৌকা, ২টি হাতি, ২টি ঘোড়া, ৮টি বোড়ে বা পণ বা সৈনিক থাকে।
রাজা সবদিকে এক ঘর যেতে পারে। মন্ত্রী সামনে-পেছনে, ডানে-বামে, কোনাকুনি চলতে পারে। নৌকা সামনে-পেছনে, ডানে-বামে চলে। গজ বা হাতি কোনাকুনি চলে। ঘোড়া সবদিকে আড়াই ঘর লাফাতে পারে। ঘুঁটির ওপর দিয়েও যেতে পারে। বোড়ে বা সৈনিক সামনের দিকে এক ঘর যেতে পারে।
খেলার বিবরণ:
দাবা খেলায় দুটি পক্ষ থাকে। একপক্ষ সাদা ঘুঁটি এবং অন্য পক্ষ কালো ঘুঁটি নিয়ে খেলে। প্রথমে সাদা সৈনিক দিয়ে ১ ঘর বা ২ ঘর চাল দেওয়া যায়। কিংবা প্রথমে ঘোড়াও চালা যায়। যদি কোনো সৈনিক শেষ প্রান্ত বা ৮ নম্বর ঘরে পৌঁছায় তাহলে এর পরিবর্তে মন্ত্রী, নৌকা, হাতি, ঘোড়া যেকোনো ঘুঁটি নেওয়া যাবে। ঘুঁটিগুলো তাদের চলার নিয়ম অনুযায়ী চালা যায়। এভাবে খেলতে খেলতে যার রাজা আটকে যাবে সে পরাজিত হবে।

ব্যাডমিন্টন

বাংলাদেশে জনপ্রিয় খেলাগুলোর মধ্যে ব্যাডমিন্টন অন্যতম। এই খেলায় দুটি দল থাকে। প্রত্যেক দলে একজন (একক) বা দুজন (দ্বৈত) করে খেলোয়াড় থাকে। ব্যাডমিন্টন খেলায় দুই ধরনের কোর্ট ব্যবহার করা  হয়। প্রত্যেক দলে একজন খেললে সেই কোর্ট দৈর্ঘ্যে ৪৪ ফুট এবং প্রস্থে ১৭ ফুট হয়। প্রত্যেক দলে দুজন করে খেললে সেই কোর্ট দৈর্ঘ্যে ৪৪ ফুট এবং প্রস্থে ২০ ফুট হয়। দুটি খুঁটি দিয়ে পোস্ট তৈরি করা হয়। খুঁটিতে নেট লাগানো থাকে। খেলার জন্য একটি শাটল কক থাকে।
খেলার বিবরণ:
একক এবং দ্বৈত উভয় খেলায় ২১ পয়েন্টে গেম হয়। তিনটি গেম খেলতে হয়। যে বা যে দল দুই গেম জিতবে সে বা তারা বিজয়ী হবে

 কাজ: খেলার শুরুতে প্রস্তুতির জন্য কিছু ওয়ার্ম আপ।

১। জাম্পিং জ্যাক

বিবরণ: সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে এবং হাত শরীরে পাশে ঝুলানো থাকবে। যখন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ১ বলবে তখন শিক্ষার্থীরা লাফ দিয়ে দুই পা ফাঁক করে দাঁড়ানোর সাথে সাথে দুই হাত দিয়ে মাথার উপরে তালি বাজবে। আবার ২ বললে আগের অবস্থানে আসবে। এভাবে-

ক. সেট: ২

খ. কতবার: ৮-১০ জাম্প

২।৩০ সেকেন্ড করে ৩ বার হালকা রানিং করা

৩।হাঁটু বুকে লাগানো

বিবরণ: সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দুই হাত দিয়ে হাটু ধরে টেনে বুকের কাছাকাছি বা বুকের সাথে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে।

ক. সেট: ২

খ. কতবার: ৫ থেকে ৪ বার

২।৩০ সেকেন্ড করে ৩ বার হালকা রানিং করা  ৩।হাঁটু বুকে লাগানো

৪। স্ট্যান্ডিং এলবো টু ক্রানসেজ

বিবরণ: সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কাঁধ বরাবর দুই পা ফাঁক করে দাঁড়াতে হবে। হাতদুটো মাথার পিছনে নিতে হবে। এরপর ডান হাতের কনুই দিয়ে বাম পায়ের হাটু স্পর্শ করতে হবে। বাম হাতের কনুই ডান পায়ের হাটুতে লাগতে হবে।

ক. সেট: ২

খ. কতবার: ১০ থেকে ১২ বার একেক পাশে।

৪। স্ট্যান্ডিং এলবো টু ক্রানসেজ

৫। সাইড টু সাইড ব্যান্ড

বিবরণ: সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পা দুটো কাঁধ বরাবর থেকে একটু বেশি ফাঁকা করে দাঁড়াতে হবে। এরপর ডান হাত কোমরে রেখে ডান দিকে কাঁত হবে। এই সময় বাম হাত কান বরাবর মাথার উপর দিয়ে ডান দিকে কাঁত হতে হবে।

ক. সেট: ২

খ. কতবার: ১০ থেকে ১২ বার একেক পাশে।

৫। সাইড টু সাইড ব্যান্ড

৬। স্ট্যান্ডিং লাঞ্জেস

বিবরণ: সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। ডান পা সামনে বাড়িয়ে দিয়ে হাটু ভাঁজ করে নিচের দিকে বসতে হবে। তখন পিছনের পা পিছনের দিকে সোজা থাকবে অথবা একটু ভাঁজও হতে পারে। দুই বললে আবার সোজা অবস্থায় ফিরে আসতে হবে। আবার তিন বলার সঙ্গে সঙ্গে একইভাবে বাম পা সামনে বাড়িয়ে হাটু ভাঁজ করে নিচের দিকে বসতে হবে।

ক. সেট: ২

খ. কতবার: এক এক পা ৩ থেকে ৫ বার

৬। স্ট্যান্ডিং লাঞ্জেস

৭। সিট আপস

বিবরণ: মাটিতে বা ম্যাটে চিৎ হয়ে শুয়ে পা দুটোকে ৯০ ডিগ্রি ভাঁজ করে শুতে হবে। দুই হাত মাথার পিছনে রাখতে হবে। বুক উপরে তুলে হাঁটুর সাথে স্পর্শ করতে হবে। এভাবে বুক উপরে তোলা এবং নামানোকে সিট আপস বলে।

ক. সেট: ২

খ. কতবার: ৫-৮ বার

৭। সিট আপস

কাজ: দূর্ঘটনা ঘটলে কী করবো তার প্রস্তুতি রাখা।

উত্তর: দূর্ঘটনা ঘটলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নিতে পারি-

প্রাথমিক চিকিৎসা: প্রাথমিক চিকিৎসা সাধারণত যেকোনো দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার চিকিৎসক, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী অথবা এম্বুলেন্স আসার আগে দেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার প্রধান উদ্দেশ্য চিকিৎসক প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর সেবা পাওয়ার পূর্বে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করা বা দুর্ঘটনার ক্ষতি বাড়তে না দেওয়া।

যেকোনো প্রাথমিক চিকিৎসার শুরুতেই যে বিষয়গুলো গুরুত্ব দিতে হয় তার মধ্যে রয়েছে:

১। ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখা।

২। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ করা।

৩। ভাঙা হাড়ের যত্ন নেওয়া।

খেলাধুলা ও শরীরচর্চার সময় আমরা যে সমস্ত দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে পারি সেগুলো এবং এর ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে আমরা কী করতে পারি তা নিচে উল্লেখ করা হলো:

কেটে যাওয়া: খেলাধুলা ও শরীরচর্চা বা অন্যান্য কাজকর্মের সময় কেটে গেলে সেটা দুই ধরনের ক্ষত তৈরি করতে পারে, গভীর বা অগভীর। ক্ষতস্থান ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে যাতে সেখানে কোনো ধুলাবালু বা অন্য কোনো ময়লা না থাকে। খেয়াল করতে হবে রক্তপাত যাতে বেশি না হয়। রক্তপাত বন্ধ করার জন্য ক্ষতস্থান চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হবে এবং কোনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ক্ষতস্থান বেঁধে দিতে হবে।

হাড়ভাঙা: দুর্ঘটনার পর শরীরে কোনো অংশ যদি স্বাভাবিক আকৃতির না থাকে, প্রচন্ড ব্যাথা হয় এবং ফুলে যায় তাহলে ধরে নিতে হবে সেখানকার কোনো হাড় ভেঙে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে এজন্য কোনো লাঠি দিয়ে ভাঙা অংশের দুপাশে বেঁধে দেওয়া যেতে পারে। রক্তক্ষরণ হতে থাকলে সেটি বন্ধ করার ব্যবস্থা নিতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। 

মচকানো: শরীরচর্চা, খেলাধুলা বা অন্যান্য কাজের সময় হাড়ের সংযোগ স্থান হঠাৎ মচকে গেলে বা বেঁকে গেলে ঐ জায়গার স্নায়ুতন্ত্রের ওপর টান পড়ে বা ফিড়ে গিয়ে যে অসুবিধার সৃষ্টি হয় তাকে মচকানো বলে। এর ফলে প্রচন্ড ব্যাথা হওয়া এবং ফোলা ফোলা ভাব তৈরি হতে পারে। প্রথমেই মচকে যাওয়া অংশ যেননড়াচড়া না করা হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে ক্রেপ ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যাথা কমানোর জন্য বরফ বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যাথা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।

পেশির টান খাওয়া: খেরাধুলার সময় আমাদের শরীরের মাংসপেশি অতিরিক্ত সংকুচিত হলে এই অবস্থা তৈরি হতে পারে। পেশি টান খেলে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভূত হয়। এই পরিস্থিতিতে টান খাওয়া পেশিকে প্রসারণ করার চেষ্টা করতে হবে। ব্যথা কমানোর জন্য গরম সেঁচ অথবা বরফ লাগানো যেতে পারে।

নাক দিয়ে রক্ত পড়া: আঘাতজনিত বা অন্য কোনো কারণে কারও নাক দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করলে সাথে সাথে তাকে চিৎ করে শোয়াতে হবে কিংবা বসিয়ে মাথা পেছনের দিকে হেলিয়ে রাখতে হবে। নাকের সামনে ও ঘাড়ের পিছনে ঠান্ডা পানির ঝাপটা বা বরফ দিতে হবে। রক্ত পড়া বন্ধ হওয়ার পরও কিছুক্ষণ নাকের ছিদ্রপথে তুলো দিয়ে রাখতে হবে।

কাজ: খেলাধুলা শেষে কুল ডাউন ব্যায়াম।

১। হালকা জগিং বা হাঁটা এটি ঠান্ডা করার সবচেয়ে সহজ উপায়গুলির মধ্যে একটি। ও থেকে 5 মিনিট হালকা জগিং করুন তারপর ও থেকে 5 মিনিট দ্রুত বা সহজে হাঁটা।

২। Upper body stretch:

(ক) উপরের শরীরের প্রসারিত দাঁড়ানো বা বসার অবস্থান থেকে, আপনার আঙ্গুলগুলিকে ইন্টারলেস করুন এবং আপনার হাতের তালুগুলিকে ছাদের দিকে টিপুন।

(খ) সোজা মেরুদণ্ড বজায় রেখে যতদূর সম্ভব আপনার হাত উপরে এবং পিছনে আঁকুন।

(গ) তারপরে আপনার বাম হাতটি আপনার ডানদিকের সামনে রাখুন এবং আপনার হাতগুলিকে একে অপরের মুখোমুখি করুন, আপনার হাত উপরে এবং পিছনে প্রসারিত করুন।

(ঘ) বিপরীত দিকে একই পদ্ধতি পুনরাবৃত্তি করুন।

২। Upper body stretch:

৩. Seated Forward Bend:

(ক) আপনার সামনে আপনার পা প্রসারিত করে বসুন।

(খ) সামনে ভাঁজ করতে আপনার নিতম্বে কব্জা করুন।

(গ) আপনার পায়ে বা মেঝেতে আপনার হাত রাখুন।

(ঘ) এই অবস্থানটি । মিনিট পর্যন্ত ধরে রাখুন।

৩. Seated Forward Bend:

8. Head-to-Knee Forward Bend:

(ক) বসা অবস্থায়, আপনার ডান পা প্রসারিত করুন এবং আপনার বাম পা আপনার ডান উরুতে টিপুন।

(খ) আপনার ডান পায়ের অভ্যন্তরের সাথে আপনার বুকের হাড়টি সারিবদ্ধ করুন যখন আপনি  আপনার বাহু মাথার উপরে উঠান।

(গ) আপনার শরীরে বা মেঝেতে হাত রেখে সামনের দিকে ভাঁজ করার জন্য আপনার নিতম্বে কব্জা করুন।

(ঘ) এই অবস্থানটি । মিনিট পর্যন্ত ধরে রাখুন।

(ঙ) বিপরীত দিকে একই পদ্ধতি পুনরাবৃত্তি করুন।

8. Head-to-Knee Forward Bend:

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!