সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ২০২৩ এর ১ম ও ২য় কার্যদিবস এর সমাধান
ধাপ/সেশন-১ম
এলাকায় যাতায়াত ও পণ্য পরিবহণে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এমন যানবাহন গুলো হলো:
যাতায়াতে ব্যবহৃত এমন যানবাহন হলো:
১. সাইকেল
২. রিক্সা
৩. ভ্যান
৪. ইজিবাইক
৫. প্রাইভেট কার
৬. সিএনজি
৭. বাস
পণ্য পরিবহণে ব্যবহৃত এমন যানবাহন হলো:
১. রিক্সা
২. ভ্যান
৩. বাস
৪. পিকআপ ভ্যান
৫. ট্রাক
যাতায়াতে কে কোন যানবাহন ব্যবহার করেন তার তথ্য ফর্ম:
নিচের মতো করে নাম নিয়ে ‘ছক’ পুরণ করতে হবে।
পণ্য পরিবহনে কে কোন যানবাহন ব্যবহার করেন তার তথ্য ফর্ম:
নিচের মতো করে ‘ছক’ পুরণ করতে হবে।ধাপ/সেশন-২য়
সবচেয়ে প্রচলিত এমন তিনটি যানবাহন হলো:
১। ইজিবাইক
২। বাস
৩। ট্রাক
যানবাহন গুলোর গঠন :
১. ইজিবাইক:
তিন চাকার বাহন । সামনে এক চাকা। পেছনে ২ চাকা। রিক্সার মতো। পুরো কাঠামো লোহার তৈরি । পিভিসি কাপড় দিয়ে মোড়ানো। বৈদ্যুতিক মোটর লাগানো। লিথিয়াম ব্যাটারি দিয়ে চলে। ড্রাইভার সামনে বসে চালান। ড্রাইভারের সামনের অংশে কাচ/স্বচ্ছ প্লাস্টিকের লাগানো থাকে যাতে ড্রাইভারের বাতাস না লাগে। ড্রাইভারের পাশে এবং পেছনে যাত্রী বসে।
কার্যপদ্ধতি: বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে চলে । সাধারণত বিদ্যুৎ দিয়ে বড় বড় ব্যাটারি চার্জ করে মোটর চালানো হয়। ব্যাটারি বৈদ্যুতিক শক্তিকে জমা করে রাখে। মোটর বৈদ্যুতিক শক্তিকে ঘূর্ণন শক্তিতে রূপান্তর করে। মোটরের সাথে লাগানো চাকা ও চেইন ঘূর্ণন শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে ইজিবাইককে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
ব্যবহৃত জ্বালানি ও এর পরিমাণ : জ্বালানি হিসেবে বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়। ১০ ইউনিট বিদ্যুৎ-এ ৮০-১০০ কিমি যাওয়া যায়।
উৎপন্ন বর্জ্য: তেমন কোনো বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয় না। তবে জোরে চালালে ধুলাবালি উড়ে বাতাস দূষিত করে।
২. বাস:
চার চাকার বাহন । সামনে দুই চাকা এবং পেছনে ২ চাকা। পেছনে ২পাশে জোড়া চাকাও থাকে। পুরো কাঠামো লোহার/ইস্পাতের তৈরি। চারপাশ লোহার পাত দিয়ে ঢাকা থাকে। সামনের অংশে এবং জানালায় কাচ থাকে।
কার্যপদ্ধতি: ইঞ্জিন চালিত। ডিজেল বা গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ডিজেল বা গ্যাস তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এই তাপশক্তি পরবর্তিতে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। ফলে বাস চলে।
ব্যবহৃত জ্বালানি ও এর পরিমাণ : জ্বালানি হিসেবে ডিজেল বা গ্যাস ব্যবহৃত হয়। প্রতি লিটার ডিজেলে ২-৩ কিলোমিটার যায়।
উৎপন্ন বর্জ্য: কালো ধোঁয়ার বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইড, অর্ধ পোড়া তেল বাতাসকে দূষিত করে।
৩. ট্রাক
চার চাকার বাহন । সামনে দুই চাকা এবং পেছনে ২ চাকা। পেছনে ২ পাশে জোড়া চাকা থাকে। পুরো কাঠামো লোহার/ইস্পাতের তৈরি। সামনে যেখানে ড্রাইভার থাকে সে অংশ লোহার পাত দিয়ে ঢাকা থাকে। সামনের অংশে এবং জানালায় কাচ থাকে। পেছনের অংশে উপরে ছাউনি থাকে না। সেখানে পণ্য বা মালামাল বহন করা হয়।
কার্যপদ্ধতি: ইঞ্জিন চালিত। ডিজেল বা গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ডিজেল বা গ্যাস তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। ফলে ট্রাক চলে।
ব্যবহৃত জ্বালানি ও এর পরিমাণ : জ্বালানি হিসেবে ডিজেল বা গ্যাস ব্যবহৃত হয় । প্ৰতি লিটার ডিজেলে ২-৩ কিলোমিটার যায়।
উৎপন্ন বর্জ্য: কালো ধোঁয়ার বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইড, অর্ধ পোড়া তেল বাতাসকে দূষিত করে।
তোমরা চাইলে এখানে গাড়ির কিছু মডেল অংকন করতে পারে।
যানবাহন গুলোর গড় গতি:
১. ইজিবাইক: গড় গতি প্রতি ঘন্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার।
২. বাস: গড় গতি প্রতি ঘন্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার।
৩. ট্রাক: গড় গতি প্রতি ঘন্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার।
যানবাহন গুলোর দুর্ঘটনা ঘটার হার:
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি-এর ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী
১. ইজিবাইক: প্রতি ১০০ টি দুঘটনার মধ্যে ইজিবাইকের কারণে ১১.৪২ টি
২. বাস: প্রতি ১০০ টি দুর্ঘটনার মধ্যে বাসের কারণে ১৩.৯৫ টি।
৩. ট্রাক: প্রতি ১০০ টি দুঘটনার মধ্যে ট্রাকের কারণে ২৪.৫০ টি।
md kamran
ReplyDeleteভালো
ReplyDeleteenglish দরকার ।
DeleteNice job 🥳🥳🥳🥳🥳🥳🎉🎉🎉🎉🎉🎉🎉🎉
ReplyDelete