বিজ্ঞানের দর্পণে সমাজ
দলগত কাজ ১:
প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ: প্রাকৃতিক উপাদান হিসাবে আমি আমার এলাকার গাছপালা ও পশুপাখি বেছে নিয়েছি। বেশিরভাগ উত্তরদাতার অভিমত এলাকার গাছপালার সংখ্যা পরিবর্তন হয়েছে। মাত্র ৫ জনের অভিমত গাছপালার সংখ্যা পরিবর্তন হয়নি। তাছাড়া বেশিরভাগ উত্তরদাতার অভিমত পশুপাখির সংখ্যারও পরিবর্তন হয়েছে। অপরদিকে, সামাজিক উপাদান হিসেবে রাস্তা-ঘাট, বাড়িঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উত্তরদাতার অভিমত রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবর্তন হয়নি কিন্তু বাড়িঘরের পরিবর্তন হয়েছে।
প্রতিবেদন আকারে উপস্থাপন
অনুসন্ধানের বিষয়: বিগত ২০ বছরে এলাকার প্রাকৃতিক ও সামাজিক উপাদানের পরিবর্তন।
অনুসন্ধান পরিচালনার স্থান: কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন
তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তির সংখ্যা: ৩০ জন।
শিমরাইল গ্রামে প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের পরিবর্তন
বরিশাল জেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের শিমরাইল গ্রামে গত ২০ বছরে প্রাকৃতিক ও সামাজিক উপাদানের বিশাল পরিবর্তন হয়েছে। এই এলাকার অবস্থা খুবই নিম্নমানের এমন অভিযোগ প্রদান করেছে তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিরা। এই এলাকাই বিগত ২০ বছরে গাছপালার সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। তাদের মতে আনুমানিক ৪০ শতাংশ কমে গেছে। এভাবে গাছপালা নির্বিচারে ধ্বংস করার কারণে পশুপাখির বাসস্থান ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে পশুপাখির সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। এখনও এখানকার মানুষ পরিবেশ সম্পর্কে সচতেন না। এর অন্যতম কারণ এই এলাকার মানুষের শিক্ষার ঘাটতি রয়েছে। বিগত ২০ বছরে এই গ্রামে মাত্র একটি স্কুল স্থাপিত হয়েছে। স্কুল হলেও সচেতন ব্যক্তিদের প্রশ্ন আছে সেই স্কুলের শিক্ষার মান নিয়ে। পর্যাপ্ত শিক্ষার অভাবে এলাকার মানুষ সহজ সরল এবং তাদের মনে কুসংস্কারে ভরে আছে। অনুন্নতার কথা বলতে গেলে সবচেয়ে বাজে অবস্থা এই এলাকার রাস্তাঘাট। যানবাহন চলাচলের জন্য এই এলাকার রাস্তাঘাট একেবারেই ব্যবহারে অনুপযোগী। কিন্তু তাও কিছু মানুষের মতে রাস্তাঘাট উন্নত হয়েছে বলতে শুনা যায়। এছাড়াও সচেতন মানুষের দাবি এলাকায় তেমন উন্নয়ন না হলেও জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে; ফলে ঘরবাড়ির সংখ্যা অনেকটা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা গাছপালা ধ্বংসের অন্যতম কারণ।
প্রতিফলন ডায়েরি
আমাদের দলের নাম 'শাপলা'। আমাদের দলের অনুসন্ধানের জন্য নির্ধারিত বিষয়টি ছিল আমাদের এলাকার প্রাকৃতিক ও সামাজিক উভয় উপাদানের পরিবর্তন। আমাদের দলের সদস্য সংখ্যা ছিল ৫ জন।
প্রথমেই আমরা অনুসন্ধান প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দলগতভাবে একটি প্রশ্নমালা তৈরি করেছি। প্রশ্নমালাতে আমরা আমাদের এলাকার সামাজিক এবং প্রাকৃতিক উপাদানের পরিবর্তন সম্পর্কিত প্রশ্ন রেখেছি। তথ্যদাতা আমাদেরকে শুধু হ্যাঁ বা না এর মাধ্যমে মতামত দিবেন। মতামত সংগ্রহের আগেই আমরা তথ্য দাতার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি। এরপর আমরা প্রশ্নমালাটির মাধ্যমে ২০ থেকে ৩০ জন তথ্যদাতার কাছ থেকে মতামত সংগ্রহ করেছি। তারাও আমাদেরকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে সাহায্য করেছেন।
তথ্যগুলো সংগ্রহের পর আমরা প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করেছি এবং তা একটি গ্রাফ পেপারে উপস্থাপন করেছি। উক্ত গ্রাফ পেপারটি আমরা আমাদের শ্রেণিকক্ষের দেওয়ালে লাগিয়ে দিয়েছি। এরপর আমরা আমাদের প্রাপ্ত তথ্য এবং বিশ্লেষিত তথ্যের সমন্বয়ে একটি প্রতিবেদন উল্লেখ করেছি। সবশেষে আমরা আমাদের যৌক্তিক সিন্ধান্ত উপস্থাপন করেছি।
পুরো অনুসন্ধানি কাজটি পরিচালনা করতে গিয়ে আমরা বেশিকিছু দারুণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। বিশেষ করে আমাদের এলাকার প্রাকৃতিক ও সামাজিক উপাদানের পরিবর্তনের কারণ ভালোভাবে জানতাম না কিন্তু এখন ভালোভাবে জানতে পেরেছি।
নিয়মিত সমাধান পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো দিয়েে পাশে থাকুন facebook.