সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অধ্যায় সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনে ব্যক্তির অবস্থান ও ভূমিকা সমাধান - Class VII History and Social Science The chapter deals with the position and role of individuals in changing social and political contexts

Mohammad Rashed
2

 সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনে ব্যক্তির অবস্থান ও ভূমিকা

সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অধ্যায় সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনে ব্যক্তির অবস্থান ও ভূমিকা সমাধান - Class VII History and Social Science The chapter deals with the position and role of individuals in changing social and political contexts

বন্ধুরা এসো আমরা প্রথমেই অধ্যায়ের শ্রেণিভিত্তিক যোগ্যতার জন্য সামগ্রিক কার্যাবলির ধারণা সম্পর্কে জেনে নিই, যা মুল্যায়ন প্রস্তুতিকে আরও সহজ করবে।

অধ্যায় পাঠ শেষে শিক্ষার্থীরা-

সামাজিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের স্বরূপ উদ্ঘাটন করতে পারবে।

ব্যক্তির অবস্থান   ভূমিকার বদলের সঙ্গে সামাজিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বদলের যে সম্বন্ধ রয়েছে তা অনুধাবন করতে পারবে।

• সামাজিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বদল কী করে ব্যক্তিকে প্রভাবিত করে, আবার ব্যক্তি কীভাবে উক্ত বদলে প্রভাব বিস্তার করে তা বিশ্লেষণ করতে পারবে।

নিজের সামাজিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যক্তিগত অবস্থান ভূমিকা নির্ধারণ করতে পারে

অনুশীলনমূলক প্রশ্ন ও কাজসমূহের সমাধান

ছক - 1

 

অবস্থান

মূলকি ভূমিকা

পরিবর্তিত ভূমিকা

গোলরক্ষক

নিজেদের গোলপোস্টের সামনে

গোল দিতে বাধা দেওয়া

গোল দেওয়া

সেন্টার ফরোয়ার্ড

প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের সামনে

গোল দেওয়া

গোল দিতে বাধা দেওয়া

 ছক - 2 

 

অবস্থান

মূলকি ভূমিকা

পরিবর্তিত ভূমিকা

গোলরক্ষক

নিজেদের গোলপোস্টের সামনে

প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের সামনে

গোল দিতে বাধা দেওয়া

সেন্টার ফরোয়ার্ড

প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের সামনে

নিজেদের গোলপোস্টের সামনে

গোল দেওয়া  




ছক দুটো ভালো করে দেখি আর আলোচনা করি, ইচ্ছেমতো অবস্থান কিংবা ভূমিকা বদলালে কী ঘটনা ঘটবে। 

সমাধান নির্দেশিকা 

ইচ্ছেমতো অবস্থান কিংবা ভূমিকা বদলালে যা ঘটবে-

১. শৃঙ্খলা বলে কিছু থাকবে না। 

২. সর্বত্র অরাজকতা লেগে যাবে।

৩. কোনো কাজই ঠিকমতো সম্পূর্ণ হবে না।

৪. সবাই সবাইকে দোষারোপ করতে থাকবে।

৫. সময়ের অপচয় ঘটবে।

৬. কোনো কাজে কখনও সফলতা আসবে না।

৭. অনেক বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।

৮. কার্যক্ষমতা হ্রাস পাবে।

৯. কেউ কারও লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে না।

১০. সামাজিক ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হবে।

চলো, আমরা একটা ছক পূরণ করে বুঝে নিই, ছেলে হিসেবে সুশীল-সুবল কেমন ছিল আর বাবা হিসেবে তারা কেমন হয়েছিল ওরা আলোচনার মাধ্যমে বোর্ডে নিচের ছকটি পুরণ করল :

সমাধান নির্দেশিকা 

অদল-বদল

সুশীল চন্দ্র যখন ছেলে

সুশীলচন্দ্র যখন বাবা

পড়াশোনায় ফাঁকি দেয়।

ছেলেকে পড়তে বসায়।

বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে, গাছে চড়তে ভালো লাগে।

ছেলেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করে।

পড়ার ভয়ে মিথ্যা বলত।

সুবলকে জোর করে স্কুলে পাঠায়।

ইচ্ছামতো ঘুরে বেড়াতো, হাডুডু খেলত।

গাছের ডাল ভেঙে পড়ে যায়।

ঠাণ্ডা বা বৃষ্টি যাই হোক যাত্রা দেখতে যেত।

বৃষ্টিতে ভিজে তিন সপ্তাহ বিছানায় শুয়ে থাকে।

লজমুস প্রিয় খাবার ছিল।

লজঘুসের স্বাদ ভারী বিশ্রী লাগে।

পুকুরে স্নান করত। আন্দিপিসির মাটির কলসে ঢিল ছুড়ে মারত।

সুবলকে পুকুরে নামতে দেয় না।

সুবলচন্দ্র যখন ছেলে

সুবলচন্দ্ৰ যখন বাবা

পড়াশোনায় ফাঁকি দেয়।

ছেলেকে পড়তে বসায়

বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে, গাছে চড়তে ভালো লাগে।

ছেলেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করে

মাস্টারের কাছে ভাষাক চেয়ে মার খায়।

জোর করে পাঁচন খাইয়ে দেয়

তাসের আড্ডায় গিয়ে ধমক খায়।

ছেলেকে ব্যাকরণ মুখস্থ করতে বলে।

 ■ নিচের প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা কর :

সুবলচন্দ্র আর সুশীলচন্দ্রের কী রকম বদল হয়েছিল?

যখন তারা বাবা তখন তাদের কাজ, আচরণ কেমন ছিল? 

যখন তারা ছেলে তখন তারা কেমন?

লোকজন ওদের ওপর বিরক্ত হয়েছিল কেন?

সমাধান নির্দেশিকা 

• সুবলচন্দ্র ও সুশীলচন্দ্রের আচরণ দম অদল বদল হয়ে গিয়েছিল। ইচ্ছা ঠাকুরুনের ইচ্ছায় ছেলে সুশীলচন্দ্র দেখে তার টাক মাথায় চুল গজিয়েছে, পড়ে যাওয়া দাঁতগুলোও গজিয়েছে। মুখে একটাও গোঁফদাড়ি নেই। সে একদম সুশীলের মতো ছোট হয়ে গেছে। অন্যদিকে সুশীলের হলো উল্টোরকম ব্যাপার। মাথায় চকচকে টাক, মুখে গোঁফদাড়ি, কয়েকটা দাঁতও পড়ে গেছে। আর শরীরটা কত বড় হয়ে গেছে। অন্যদিকে বাবা সুবলচন্দ্রের চেহারা ছেলে সুশীলচন্দ্রের মতো জোয়ান হয়েছিল।

• যখন তারা বাবা হয়ে যায়, তখন তাদের ভূমিকা একই রকম ছিল। ছেলেকে পড়তে বসায়। ছেলেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করে। সুবল পুকুরে নামতে দেয় না। সুবলচন্দ্ৰ বাবা হয়ে ছেলেকে পড়তে বসায়, ছেলেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করে। জোর করে পাঁচন খাইয়ে দেয় ছেলেকে, ব্যাকরণ মুখস্থ করতে বলে।

• যখন তারা ছেলে তখন তাদের মধ্যে ছেলে মানুষি প্রকাশ পেয়েছিল। সুশীলচন্দ্র ছেলে হয়ে পড়াশোনায় ফাঁকি দেয়, বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে, গাছে চড়তে ভালো লাগে। পড়ার ভয়ে মিথ্যা বলত। ইচ্ছামতো ঘুরে বেড়াতো, হাডুডু খেলত, ঠাণ্ডা বা বৃষ্টি যাই হোক যাত্রা দেখতে যেত, লজম্বুস প্রিয় খাবার ছিল, পুকুরে স্নান করত। আন্দিপিসির মাটির কলসে ঢিল ছুড়ে মারত। অন্যদিকে সুবলচন্দ্র ছেলে হয়ে পড়াশোনায় ফাঁকি দেয়। বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে, গাছে চড়তে ভালো লাগে। লজমুস এর স্বাদ বিশ্রি লাগে, মাস্টারের কাছে তামাক চেয়ে মার খায়, তাসের আড্ডায় গিয়ে ধমক খায়।

• লোকজন তাদের বয়স হিসেবে কাজের ধরন দেখে প্রথমে হাসি ঠাট্টা করলেও সেটা একসময় বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ছেলে হিসেবে সুবলের ন্যাকামি আর বাবা হিসেবে সুশীলের ভাড়ামি সকলের কাছে অসহ্য হয়ে যায়। ফলে সবাই তাদের উপর বিরক্ত হয়ে যায়।

সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য ওরা আলোচনার মাধ্যমে এরকম একটা ছক তৈরি করল : 

সমাধান নির্দেশিকা 

বিভিন্ন বয়সে আমার অবস্থান ও ভূমিকা

নাম : মামুনুর রশিদ জান                                                       পেশা : চাকুরীজীবী

বয়স ৪৫ বছর                                                                        লিঙ্গ : পুরুষ

স্কুলে পড়ার বয়সে আমি যা করতাম

এখন আমি যা করি

মন দিয়ে পড়াশোনা করতাম নিয়মিত। বিকালবেলা পাড়ার বন্ধুদের সাথে গোল্লাছুট, হাডুডু, মার্বেল আর ডাঙ্গুলি খেলতাম। স্কুলে টিফিন সময়ে বন্ধুদের সাথে গল্প করতাম। প্রতি বৃহস্পতিবার ছিল আমাদের খেলার দিন। ঐদিন আমরা ফুটবল খেলার জন্য সারা সপ্তাহে প্রস্তুতি নিতাম। আমাদের পাশের গ্রামে মেলা আর পুতুল নাচ দেখতে যেতাম বাবার সাথে। সেখানে বায়োস্কোপ দেখে অনেক মজা পেতাম। আর ছুটির দিনগুলো সারাদিন বন্ধুদের সাথে এই গ্রামে গ্রামে দুরন্তপনায় মেতে থাকতাম।

সারাদিন অফিসে কাজ করি। রাতে বাসায় ফিরে আমার পরিবারের সাথে সময় কাটাই, টিভি দেখি। ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পরিবার নিয়ে বেড়াতে যাই। মাঝে মাঝে ভলিবল আর ব্যাডমিন্টন খেলা হয় রাতের বেলা।

বিভিন্ন সামাজিক প্রেক্ষাপটে আমার অবস্থান ও ভূমিকা

সমাধান নির্দেশিকা


■ প্রশ্নমালা সমাধান নির্দেশিকা :

১. প্রাচীন মিশরের সামাজিক শ্রেণি কীরূপ ছিল?
২. প্রাচীন মিশরীয় সমাজে বিভিন্ন শ্রেণির অবস্থান কীভাবে নির্ধারণ করা হতো?
৩. প্রাচীন মিশরের মতো আমাদের সমাজ ব্যবস্থার কোনো সাদৃশ্য বা বৈসাদৃশ্য রয়েছে কি? থাকলে কীরূপ?
৪. এখনকার সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রাচীন মিশরীয়দের সামাজিক ভূমিকা কীরূপ হবে বলে মনে কর?

প্রাচীন মিশরের মানুষের সমাজের ভূমিকার সাথে বর্তমান সময়ের সমাজের মানুষের ভূমিকার মিল

প্রাচীন মিশরের মানুষের সমাজের ভূমিকার সাথে বর্তমান সময়ের সমাজের মানুষের ভূমিকার অমিল

. কৃষিভিত্তিক পেশা

পশুর পরিবর্তে মানুষ আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে কৃষিকাজ করে।

. ব্যবসায়ী, কারিগর, দোকানদার

রাজার পরিবর্তে প্রতিনিধিত্বমূলক শাসক।

. গৃহকর্মী হিসেবে

আগে মৃতদেহ মমি করে রাখত। বর্তমানে কবর অথবা পুড়িয়ে মৃত মানুষের সৎকার করে।

. সম্পদ অনুযায়ী মানুষের সামাজিক অবস্থান

সম্পদ অনুযায়ী রাজারা সবার উপরে অবস্থান করত এবং ক্রীতদাস গৃহকর্মীরা নিচে অবস্থান করত। কিন্তু বর্তমানে রাজা বা ক্রীতদাস নেই। তবে সম্পদ অনুযায়ী মানুষের সামাজিক অবস্থা বিদ্যমান রয়েছে।


১০০ বছর আগে নারীদের সামাজিক অবস্থ: 

সমাধান নির্দেশিকা 

প্রায় ১০০ বছর আগেকার নারীর সামাজিক অবস্থান

প্রায় ১০০ বছর আগেকার নারীর সামাজিক ভূমিকা

নারীরা ছিল অবরোধবাসিনী। তারা গৃহের অভ্যন্তরেই অবস্থান করত। বাহিরের জগতে ঘুরে বেড়ানোর অনুমতি তাদের ছিল না। কোথাও যেতে হলে পুরুষের সাথে গমন করতে হতো। পর্দা প্রথা ছিল মুসলমান নারীদের ভূষণ। ব্যক্তি স্বাধীনতা বলতে তাদের কিছুই ছিল না। তারা ছিল দাসীস্বরূপ।

পুরুষের বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে নারী তার ভূমিকা পালন করত। পুরুষের ইচ্ছানুযায়ী তারা গৃহস্থালীর কাজকর্ম করার সুযোগ পেত। নিজের মতামত প্রকাশের মতো সাহস তারা করতো না। রন্ধনশালার মধ্যে তাদের ভূমিকাকে বন্দী করে রাখা হতো।

■ চলো, দলগতভাবে এই সময়ের নারীর অবস্থান এবং ভূমিকা খুঁজে ছকে সাজিয়ে উপস্থাপন করি 

সমাধান নির্দেশিকা 

বর্তমান সময়ের নারীর সামাজিক অবস্থান

বর্তমান সময়ের নারীর সামাজিক ভূমিকা

বর্তমানে নারীর অধিকার সংরক্ষিত।

নারী একজন ডাক্তার।

নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।

নারী একজন শিক্ষক।

নারীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে।

নারী একজন গাড়িচালক।

নারীরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে।

নারী একজন শ্রমিক।

শ্রম বাজারে নারীকর্মীর চাহিদা বেড়েছে।

নারী একজন গবেষক।

রাজনীতিতে নারীর অবস্থান শক্ত হয়েছে।

নারী একজন এনজিও কর্মী।

বিনা বাধায় নারীরা খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারছে।

নারী একজন উদ্যো।

 

নারী একজন বিশ্বনন্দিত খেলোয়াড়।

 

নারী এভারেস্ট জয়ী।

■ এই দুই সময়ের নারীর অবস্থান ও ভূমিকায় কোথায় কোথায় তফাত হয়েছে।

সমাধান নির্দেশিকা

প্রায় 100 বছর আগের নারী

এখনকার সময়ের নারী

নারী ছিল অবরোধবাসিনী

নির্দিষ্ট গণ্ডির ভেতর তার চলাচল ছিল।

বাহিরের কাজে তার স্বাধীনতা ছিল না।

পুরুষের আজ্ঞাবহ ছিল।

ব্যক্তিস্বাধীনতা না থাকায় নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতে পারত না

সন্তান লালনপালন এবং গৃহস্থালীর কাজ ছিল একমাত্র কাজ।

নারী অধিকারের স্বীকৃতি ছিল না।

পুরুষের সহকর্মী।

অফিস আদালতে নারীর অবাধ বিচরণ।

নারী শ্রমিক হিসেবে অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।

নারী উদ্যোক্তা হিসেবে অর্থনীতির উন্নতি সাধন করছে।

নারী এখন আর অবরোধবাসিনী নয় ।

নারীর অধিকার দেশের সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত।

■ চলো, আমরা দলে বসে খুঁজে দেখি এখানে কী কী ঘটেছে

সমাধান নির্দেশিকা

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বদল

ব্যক্তির অবস্থান ভূমিকার বদল

সামাজিক প্রেক্ষাপটের বদল

১৭৫৭ সালের পলাশি যুদ্ধের মাধ্যমে ইংরেজদের শাসনব্যবস্থা শুরু।

ব্যক্তি স্বাধীনতা হারায় এবং জমিদার শ্রেণির রোষানলে পড়ে।

সমাজে দুর্ভিক্ষ দেয়। মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে।

১৭৯৩ সালে রাজস্ব আদায়ের জন্য চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন।

জমিদার শ্রেণি জমিদারি হারানোর ভয়ে অসহায় হয়ে পড়ে।

সমাজে অরাজকতা নেমে আসে। চারদিকে মানুষের মাঝে হতাশা ভর করে।

১৭৯২ সালে জমিদারি শ্রেণিকে খুশি করার জন্য প্রজাদের উপর অত্যাচার করার স্বাধীনতা দেয়।

মধ্যস্বত্ব ভোগী শ্রেণির সৃষ্টি

সমাজে বিদ্রোহ দানা বেঁধে উঠে। বিভিন্ন আন্দোলন সংঘটিত হয়।

১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের মাধ্যমে ইংরেজ শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটে।

জমিদারদের ক্ষমতা সুযোগ-সুবিধা ছাটাই করা হয়।

প্রথমবারের মতো প্রজাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

১৯২০ সালে ভারতবর্ষে গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা ফিরে আসে।

ব্যক্তি রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয়ে উঠে।

সমাজে রাজনৈতিক দলের ভূমিকা প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যায়।

■ গবেষণার জন্য তথ্যছক

সমাধান নির্দেশিকা

আমার এলাকার রাজনৈতিক ও সামাজিক পেটের পরিবর্তন; ব্যক্তির অবস্থান ও ভূমিকা

নাম : আনিকা রহমান

বয়স ৭৩ বছর                                                                                              ঠিকানা: ঢাকা

সময়কাল

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

সামাজিক প্রেক্ষাপট

আমার অবস্থান ভূমিকা

১৯৫২ সাল

ভাষা আন্দোলনে উত্তাল দেশ

ভাষার দাবিতে সংঘবদ্ধ হয় পুরো জাতি।

আমি সময় ছাত্র ছিলাম। আমি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে মিছিলে যোগ দেই।

১৯৬৬ সাল

বাঙালির স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে চলমান আন্দোলন

পাকিস্তানের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদী হয়ে উঠে

আমি তখন একজন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। আমার অবস্থান থেকে নিজ দেশের মানুষের অধিকারের জন্য আন্দোলনে যোগ দিই

১৯৭১ সাল

স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উদ্ভব

সারা দেশের মানুষ দীর্ঘদিনের পাকিস্তানের বৈষম্য থেকে মুক্ত হয়ে আনন্দ মিছিল করে।

নিজেকে স্বাধীন দেশের নাগরিক ভেবে গর্বিত হই।

Post a Comment

2Comments

Post a Comment

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!