কর্মদিবস ৩ (মূল্যায়ন উৎসব): ১২০ - ১৮০ মিনিট
প্রশ্ন:
• কাজ ১: দলগত কাজ (৫০ মিনিট)
শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে তাদের উপস্থাপনা চূড়ান্ত করে তা প্রদর্শন / প্রকাশের প্রস্তুতি শেষ করবে।
সমাধান:
কাজ-১: শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে নিজেদের কর্মদিবস ১ এর কাজগুলো একত্র করবে। এক্ষেত্রে দল গঠনে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান করবেন। লক্ষ্য রাখতে হবে যে কোন দলে ৫-৬ জনের বেশি শিক্ষার্থী না থাকে।
সমাধান:
আশা করি আপনারা কর্মদিবস ১ এর সকল কাজগুলো বুঝতে পেরেছ। তোমরা কর্মদিবসে যে কাজগুলো আদালাভাবে করছিলে এখানে সেই একি কাজগুলো দল গঠনের মাধ্যমে করতে হবে।
কাজ-২: শিক্ষার্থীরা রোগীর সেবায় করণীয় সম্পর্কে নিজেরা যা ভেবেছে এবং ইসলামের আলোকে যা পেয়েছে সেগুলো কীভাবে শিক্ষকের সামনে উপস্থাপন করবে (লিখে, বলে, ছবি এঁকে, পোস্টার বানিয়ে, কুরআন এর আয়াত লিখে, মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ইত্যাদি) তার পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে ।
সমাধানঃ
প্রিয় শিক্ষার্থীরা কাজ -২ এর কাজগুলো সহজে করা জন্য আমরা (লিখে, বলে এবং পোস্টার বানিয়ে) এই তিন ভাবে করলে আমার মনে হয় সবার জন্য সুবিধা হবে।
কাজ: ডেঙ্গু রোগীর সেবায় করণীয়গুলো পোস্টার বানিয়ে শিক্ষকের কাছে উপস্থাপন করা হলো-
কাজ ২: দলগত কাজ (১০ মিনিট)
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের সহায়তায় ডেঙ্গু বা অন্য কোন রোগে আক্রান্ত বা অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্যের জন্য এবং বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারির সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করবে।
কাজ ৩: দলগত কাজ (দলপ্রতি ১০-১৫ মিনিট)
শিক্ষার্থীরা দলে দলে তাদের প্রস্তুতি অনুযায়ী শিক্ষকের নির্দেশনা মোতাবেক ধারাবাহিকভাবে তাদের উপস্থাপনগুলো করবে।
উপকরণ:
কর্মদিবস ১, কর্মদিবস ২ এবং কর্মদিবস ৩ (মূল্যায়ন উৎসব) এর কাজগুলো করতে শিক্ষার্থীদের কাগজ (তাদের শ্রেণির কাজের খাতা থেকে নেয়া) এবং কলম ছাড়া অন্য কোন উপকরণের প্রয়োজন নেই। বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ও মাল্টিমিডিয়ার ব্যবস্থা থাকলে শিক্ষার্থীরা তা ব্যবহার করতে পারে। পোস্টার বানানোর ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পুরনো ক্যালেন্ডারের খালি পাতা, খাতার পৃষ্ঠা ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।
সমাধান:
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের সহায়তায় ডেঙ্গু বা অন্য কোন রোগে আক্রান্ত বা অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্যের জন্য এবং বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারির সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করবে। এক্ষেত্রে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কে সহযোগীতা করবে।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমাদের সুবিধার জন্য দুইটা দোয়া দেওয়া হলো। তোমরা চাইলে এই দোয়া দু’টি শিখে নিতে পার।
দোয়া দুইটি নিচে দেওয়া হলো:
أَذْهِبَ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءٌ لَا يُغَادِرُ سَقَمَمًا ( উচ্চারণ : আযহিবিল বা'স, রব্বান নাস, ওয়াফি আংতাশ শা-ফীলা- শিফা-আ ইল্লা- শিফাউকা শিফাআন লা- ইউগাদিরু সাক্ক-মা।)
অর্থ: হে মানুষের রব! এ ব্যক্তির রোগ দূর করে দিন। তাকে নিরাময় করে দিন। নিরাময় করার মালিক আপনিই। আপনার নিরাময় ছাড়া আর কোনো নিরাময় নেই। এমন নিরাময় যা কোন রোগকে বাকী রাখে না।
আরেকটি দোয়া রয়েছে। أَسْأَلُ اللهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ أَنْ يَشْفِيَكَ (উচ্চারণ: আস্সালুল্লহাল 'আযিম রব্বাল 'আরশিল 'আযিম আই ইয়াস্ফিয়াকা।)
অর্থ: আমি মহান আল্লাহর দরবারে দু'আ করছি তিনি যেন আপনাকে আরোগ্য দান করেন, যিনি মহান আরশের রব।