• ধাপ ৩ (তৃতীয় কর্মদিবস: ১২০ মিনিট)
প্রশ্ন:
• তৃতীয় সেশনের শুরুর ৩০ মিনিট শিক্ষার্থীরা তাদের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করবে এবং নির্ধারিত প্রযুক্তি দুইটির যথাযথ ব্যবহারের নীতিমালা তৈরি করবে।
• এই নীতিমালায় প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এদের ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রয়োগ সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা উল্লেখ করতে বলুন।
• একইসঙ্গে, তারা পরিবেশের উপর এসব প্রযুক্তির প্রভাব বিশ্লেষণ করবে, একইসাথে মানবস্বাস্থ্যের উপরে এদের প্রভাবও আলোচনা করবে। পরিবেশগত প্রভাব বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের জ্বালানির ব্যবহার আলোচনা করবে, এবং জ্বালানির অপচয়/অপব্যবহার হচ্ছে কিনা বা হলে কেনো হচ্ছে তাও খুঁজে দেখবে। পরবর্তী ৪০ মিনিট তারা তাদের মতামত উপস্থাপনের জন্য পোস্টার তৈরি করবে এবং নির্ধারিত প্রযুক্তি দুইটির যথাযথ ব্যবহারের নীতিমালা শ্রেণিকক্ষে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করবে। শিক্ষক ঘুরে ঘুরে সব দলের কাজ দেখবেন এবং প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে তাদের আলোচনা শুনবেন। দলে প্রত্যেকের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট থাকবে এবং সেই অনুযায়ী বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে দলের সদস্যদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে PI (৬.৯.১, ৬.৯.২ ও ৬.১০.১) এর ইনপুট দেবেন।
• শিক্ষার্থীর লিখিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট PI (৬.১.১ ও ৬.১০.২) এর ইনপুট দেবেন।
সমাধান:
(ক) বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি ব্যবহারের নীতিমালা:
১। ইস্ত্রির মধ্যে থাকা লোহার প্লেট সর্বদা পরিষ্কার রাখা।
২। প্রতিবার ব্যবহারের পরে লোহার প্লেটটি ঠান্ডা হলে প্রথমে ভিনেগার ও পরে কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
৩। সংরক্ষণের আগে ইস্ত্রিটিকে পর্যাপ্তভাবে ঠান্ডা হতে দিতে হবে।
(খ) কম্পিউটার ব্যবহারের নীতিমালা:
১। একটানা ৩০ মিনিটের বেশি কম্পিউটার ব্যবহার করা যাবে না।
২। সুরক্ষিত এবং প্রতিরোধক্ষম পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
৩। কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম এবং সফটওয়্যার আপডেট রাখতে হবে।
৪। কম্পিউটারের আশেপাশে তরল এবং মিষ্টি জাতীয় বস্তু রাখা যাবে না।
বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি ব্যবহারের ইতিবাচক প্রভাব:
১। বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি ব্যবহার করে কাপড় সোজা করা হয়।
২। অনেক সময় কুঁচকে যাওয়া কাগজের টাকা, জরুরি কাগজপত্র ইস্ত্রি দিয়ে সোজা করা হয়।
বৈদ্যুতিক ইস্ত্রির নেতিবাচক প্রভাব:
১। ইস্ত্রি করার পর লাইন না খুলে রাখলে বিদ্যুতের অপচয় হয়।
২। অনেক সময় অধিক গরমে কাপড় পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
কম্পিউটার ব্যবহারের ইতিবাচক প্রভাব:
১। ওয়ার্ড প্রসেসিং বা লেখা-লেখির কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
২। বিভিন্ন ধরনের গবেষণামূলক কাজে।
৩। চিকিৎসা ও শিক্ষাক্ষেত্রে।
৪। একস্থান থেকে অন্যস্থানে সংবাদ প্রেরণের ক্ষেত্রে।
৫। বিনোদনের ক্ষেত্রে যেমন টিভি দেখা, ভিডিও দেখা ও গান বাজানো, উপস্থাপন ইত্যাদি ক্ষেত্রে।
৬। যোগাযোগ ব্যবস্থার টিকিট বিক্রি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ট্রান্সপোর্টের ডিরেকশন ও গতি নির্ণেয়র কাজে।
৭। শিল্পক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণের কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে।
৮। আধুনিক সামরিক বাহিনীতে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে।
কম্পিউটারের ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব:
১। নিরাপত্তা ঝুঁকি: কম্পিউটারগুলি ভাইরাস, ম্যালওয়্যার এবং হ্যাকিংয়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, যা সম্ভাব্য ডেটা লঙ্গন এবং গোপনীয়তা উদ্বেগের দিকে পরিচালিত করে।
২। চাকরির স্থানচ্যুতি: অটোমেশন এবং কম্পিউটারাইজেশনের ফলে নির্দিষ্ট কিছু শিল্পে চাকরি হারাতে পারে।
৩। গোপনীয়তার উদ্বেগ: তথ্যের ডিজিটাল প্রকৃতি এটিকে অননুমোদিত অ্যাক্সেসের জন্য সংবেদনশীল করে তোলে, ব্যক্তিগত এবং সংবেদনশীল ডেটা সুরক্ষা সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়ায়।
৪। খরচ: কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার অর্জন এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়বহুল হতে পারে, বিশেষ করে সীমিত আর্থিক সংস্থানসহ ব্যবসা এবং বক্তিদের জন্য।
৫। ডিজিটাল আসক্তি: অত্যাধিক কম্পিউটার ব্যবহার, বিশেষ করে গেমিং বা সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে আসক্তিতে অবদান রাখতে পারে এবং মানসিক সুস্থতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাববিত করতে পারে ।
পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের উপর প্রভাব:
পরিবেশগত প্রভাব: ইলেক্ট্রনিক উপাদানগুলির উৎপাদন এবং নিষ্পত্তি ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যের জন্য অবদান রাখে, পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। মানুষ তার প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ক্রয় করছে। যানবাহনগুলোর অধিকাংশ জ্বালানিতে চলে, ইঞ্জিনে জ্বালানি পুড়ে উৎপন্ন হয় কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (C0), যা বায়ুকে উচ্চহারে দূষিত করে। যানবাহন থেকে প্রধানত বায়ু ও শব্দ দূষণ হয়।
স্বাস্থ্য সমস্যা: দীর্ঘায়িত কম্পিউটার ব্যবহার চোখের স্ট্রেন, মাথাব্যাথা এবং পেশীবহুল সমস্যায় অবদান রাখতে পারে।
জ্বালানির অপব্যবহার:
১। ইটের ভাটায় খনিজ কয়লা পুড়িয়ে তাপ উৎপন্ন করা হয়। এখানে কয়লা অর্থ অবস্থায় রয়ে গেলে কয়লার অপচয় হয়।
২। শহরাঞ্চলে শীতকালে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে কাপর শুকানো হয়, ফলে প্রচুর গ্যাস অপচয় হয়।
৩। ট্রাফিক জ্যামে গাড়ির ইঞ্জিন চালু রাখা হয় ফলে গ্যাস, পেট্রোল ও ডিজেলের অপচয় হয়।
৪। শহরাঞ্চলে রান্নার পর অনেক সময় চুলা জ্বালিয়ে রাখা হয়, এতে গ্যাসের অপচয় হয়।
আহারে পরীক্ষা কেনো যে এলি আমাদের জীবনে😭🤧🤒😩😫
ReplyDeleteright😭😭😭
Deleteho 🤧🤧🥴🥴 এস্যাইনমেন্ট করতে করতে জীবন শেষ 😟 পরিক্ষার একদিন আগেও এস্যাইনমেন্ট দেয়🤧
Deleteআহারে পরীক্ষা কেনো যে এলো আমাদের জীবনে
ReplyDeleteআরে পরীক্ষা তুই কে
ReplyDeleteআসিস ন যে জীবনে আসিস
পরীক্ষাটা খুব ভালো হয়েছে
ReplyDelete